ইউরিন ইনফেকশন দূর করার প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়
ইউরিন ইনফেকশন দূর করার প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়
আপনারা যারা "ইউরিন ইনফেকশন দূর করার প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়" সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন, ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্র tract ইনফেকশন দূর করার প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত গাইড। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাবসহ নানা সমস্যার সহজ সমাধান সম্পর্কে।
ইউরিন ইনফেকশন কী?
ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) হলো এমন এক ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা, যেখানে মূত্রথলি, মূত্রনালী বা কিডনিতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে। এটি সাধারণত Escherichia coli (ই-কলাই) নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন, কারণ নারীদের ইউরেথ্রা তুলনামূলকভাবে ছোট ও মলদ্বারের কাছাকাছি থাকে।
আরো পড়ুনঃ রাতকানা রোগ কেন হয়? লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার | বিশেষজ্ঞ মতামতসহ বিস্তারিত গাইড
ইউরিন ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণঃ
-
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া
-
ঘন ঘন প্রস্রাবের বোধ
-
প্রস্রাবের রঙ গাঢ় বা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া
-
তলপেটে চাপ অনুভব
-
মাঝে মাঝে হালকা জ্বর বা ঠান্ডা অনুভব
ইউরিন ইনফেকশনের কারণ
ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে, তবে কিছু অভ্যাস ও শারীরিক পরিস্থিতি এই সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। সঠিক কারণগুলো জানা থাকলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হয়ে যায়। নিচে ইউরিন ইনফেকশনের কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো।
- পর্যাপ্ত পানি পান না করা
- প্রস্রাব চেপে রাখা
- অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার
- ভুলভাবে পরিষ্কার করা (বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে)
- যৌন সম্পর্কের সময় অপরিচ্ছন্নতা
- ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকা
- ক্যাথেটার (মূত্রনালী টিউব) ব্যবহার
- গর্ভাবস্থা বা হরমোনাল পরিবর্তন
- সংক্রামিত গঠনগত সমস্যা (যেমন স্টোন, প্রস্রাবের জটিলতা)
- অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ
- ডায়াবেটিস
মূলকথা-ইউরিন ইনফেকশনের প্রধান কারণ হলো জীবাণুর প্রবেশ এবং তা দমন করতে না পারা। পানিশূন্যতা, প্রস্রাব চেপে রাখা, অপরিচ্ছন্নতা, এবং শারীরিক দুর্বলতা এই রোগের বড় উৎস। সচেতনতা এবং সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে এই ইনফেকশন সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ইউরিন ইনফেকশন দূর করার কার্যকর উপায়
ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণ আমাদের শরীরে একটি সাধারণ অথচ অস্বস্তিকর সমস্যা। এই ইনফেকশন হলে ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, দুর্গন্ধ, ও পেটে চাপ অনুভূত হয়। তবে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক কিছু উপায় অনুসরণ করে এটি সহজেই দূর করা সম্ভব।
প্রথমেই পর্যাপ্ত পানি পান করা সবচেয়ে কার্যকর একটি পদ্ধতি, যা শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয়। বেকিং সোডা মেশানো পানি ইউরিনের অ্যাসিড লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি তুলসি পাতা, রসুন, ডাবের পানি, বার্লি পানি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, লেবু ইত্যাদি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এছাড়াও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা, প্রস্রাব চেপে না রাখা, ও কফি বা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাও ইনফেকশন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যদি ঘরোয়া উপায়েও উপশম না হয়, প্রস্রাবে রক্ত দেখা দেয় বা জ্বর আসে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই ইউরিন ইনফেকশন থেকে মুক্তির মূল চাবিকাঠি।
প্রচুর পানি পান করুন
প্রচুর পানি পান করা ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধ ও নিরাময়ের অন্যতম প্রাকৃতিক এবং সহজ উপায়। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন ও ব্যাকটেরিয়া মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এতে মূত্রনালী পরিষ্কার থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। পানি ইউরিনকে পাতলা করে দেয়, ফলে প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় না এবং জ্বালাপোড়াও কম অনুভূত হয়।
যারা নিয়মিত কম পানি পান করেন, তাদের ইউরিন ঘন হয়ে যায়, যা ইনফেকশন বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানে অভ্যস্ত হওয়া খুবই জরুরি - এটি শুধু ইউরিন ইনফেকশন নয়, বরং কিডনির সুস্থতা ও সারা শরীরের জন্য উপকারী।
পানি বেশি খেলে মূত্রনালী পরিষ্কার থাকে, ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে যায় - এটি একটি সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার।
ক্র্যানবেরি জুস খান
ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় প্রাকৃতিকভাবে কার্যকর একটি উপায় হলো ক্র্যানবেরি জুস। এতে থাকা প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন (PAC) নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া জমতে বাধা দেয়। ফলে ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এটি ইউরিনের অ্যাসিড লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব, জ্বালা ও জ্বালাপোড়ার মতো উপসর্গ উপশম করে।
তবে বাজারজাত মিষ্টিযুক্ত ক্র্যানবেরি জুস না খেয়ে চিনি ছাড়া বা কম চিনি যুক্ত জুস খাওয়া উত্তম। প্রতিদিন ১ গ্লাস করে খাওয়া গেলে প্রাকৃতিকভাবে ইউরিন ইনফেকশনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। পাশাপাশি এটি দেহের পানি ঘাটতি পূরণেও সহায়ক।
প্রাকৃতিকভাবে ইউরিন ইনফেকশন রোধে ক্র্যানবেরি জুস একটি কার্যকর পানীয়। প্রতিদিন ১ গ্লাস খাওয়া জীবাণু প্রতিরোধ করে, মূত্রনালী পরিষ্কার রাখে এবং জ্বালা-পোড়ার উপশমে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ যারা নিয়মিত ওষুধ খান (বিশেষ করে ব্লাড থিনার), তারা ক্র্যানবেরি জুস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রস্রাব চেপে না রাখা
প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, বিশেষ করে কর্মব্যস্ততা, বাইরে থাকার সময় বা টয়লেট সুবিধার অভাবে। কিন্তু এই অভ্যাসটি মূত্রনালীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখলে ব্যাকটেরিয়া মূত্রথলিতে বেশি সময় থাকার সুযোগ পায়, যা ইউরিন ইনফেকশন বা ইউটিআই-এর কারণ হতে পারে। এছাড়া এতে কিডনিতে চাপ পড়ে, যা ভবিষ্যতে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রতিবার যখন প্রস্রাবের চাপ আসে, তখন তা সঙ্গে সঙ্গেই করে ফেলা উচিত। এটি মূত্রনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রস্রাব চেপে না রাখা উচিত-এটি একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর স্বাস্থ্য অভ্যাস।
সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
সাদামাটা পোশাক ও সুতি অন্তর্বাস পরিধান করুন
সাদামাটা পোশাক ও সুতি অন্তর্বাস ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, বিশেষত মূত্রনালীর ইনফেকশন বা ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। অতিরিক্ত আঁটসাঁট বা সিন্থেটিক কাপড় বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, যা ঘাম জমে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, সুতি কাপড় ত্বককে শ্বাস নিতে দেয় এবং ঘাম শুষে নেয়, ফলে জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
সাদামাটা পোশাক সাধারণত আরামদায়ক, হালকা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে অপ্রয়োজনীয় গরম হয় না, ফলে ত্বকে কোনো রকম অস্বস্তি বা ঘর্ষণ হয় না। বিশেষ করে গরমকালে সুতি অন্তর্বাস ব্যবহার করলে ব্যক্তিগত অঙ্গের পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে এবং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হ্রাস পায়।
অতএব, দৈনন্দিন জীবনে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত থাকার জন্য সাদামাটা ও সুতি কাপড়ের পোশাক ও অন্তর্বাস পরিধান করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি শুধু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, বরং স্বস্তিদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ীও।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান
ভিটামিন সি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং নানা ধরণের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের সুস্থতা রক্ষা করে, আঘাতের পরে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীগুলোকে মজবুত করে। নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন—কমলা, লেবু, আমলা, পেয়ারা, আনারস, টমেটো, ব্রোকলি, কাঁচা মরিচ, ও স্ট্রবেরি খেলে শরীর সজীব থাকে এবং ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। যাদের সহজে ঠান্ডা-জ্বর হয় বা শরীরে দুর্বলতা থাকে, তাদের প্রতিদিন এসব ফলমূল বা সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
পরিশেষে বলা যায়, ভিটামিন সি শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমেই সহজে গ্রহণ করা যায়।
রসুন খান
রসুন একটি প্রাকৃতিক যা প্রাচীনকাল থেকে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে হতে পারে। নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি ”অ্যালিসিন” নামক সক্রিয় উপাদান জীবাণু চটে অত্যন্ত কার্যকর। রসুন ধাপের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তচাপ ও কোলেস্টের হয় এবং হৃদরোগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণে। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ইউরিন ইনফ্রিক্ট এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে খালি পেটে খাবার রসুনের জন্য অনেক শক্তি। তবে অতিরিক্ত ব্যক্তি বা পেটের সমস্যা হতে পারে, তাই তামতো গ্রহণ করাই ভালো। স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যতালি কাচা রসুন থাকা উচিত।
দই বা প্রোবায়োটিক খাবার খান
দই বা প্রোবায়োটিক খাবার আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে এবং শক্তি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দইয়ে শতক ক্ষমতাসী ব্যাকটেরিয়া (জেমন ল্যাকটোব্যাসিলাস) অন্ত্রে ভাল ব্যাকটের সংখ্যা বাড়ায়, যা পেটের যন্ত্র, অ্যাসিডি ও মিডিরিয়ার মতো সমস্যা কমতে সহায়ক। এটি শুধু হজমে সাহায্য করে না, ইউরিন ইনফরকসের মতো জীবাণুবাহিত অসুখ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। আপনার দেই বা প্রোবায়োটিক উপাত্ত পরীক্ষা পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে এবং শরীর ভিতর থেকে থাকে। তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় দই বা প্রোবায়োটিক খাবার রাখা নিরাপত্তা অত্যন্ত ও স্বাস্থ্যকর।
সুগার ও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এ চালান
সুগার (চিনি) ওফে (চা, কফি, সফটড্রিংকস জাতীয় খাবার ইউরিন ইনফরনকে আরও জটিল করতে পারে)- এই উপাদানগুলো মূত্রলীতে অ্যাসিডের সীমানা বাড়ায়, ফলপোড়া, ব্যাথা ও আঘাতের ক্ষতিসাধন হয়। অতিরিক্ত শারীরিক চিনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংশোধনকে ত্বরান্বিত করে এবং ক্যারিহাইড্রেশন করে, যা ইনফ সক্রিয় নিরাময়ে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ইউরিন ইনফরম্যান্সের সময় এই ধরনের এই ধরনের দৃশ্যটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তে পর্যাপ্ত পানি, ডাবের পানি বা বার্লি পানি পরীক্ষা ব্যবস্থা পাওয়া যায়।
মূলকথা- ইউরিন ইনফক্র্যাক প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য চাই ওফেইন বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ করা ভালো।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক নিন
ডক্টর অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ইউরিন ইনফরমেশন বা সাহায্যের পরামর্শ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে। অ্যান্টিঅন্টোটিক শুধু বলবে এর মতো করে যদি আপনার মৃত্যু দেওয়া বা মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া সংক্রমণ আরও জটিলতা করতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে (অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যা)। তাই সঠিক নির্ভুল রোগের পর একজন পোর্টালের পরামর্শের পরামর্শে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয়তা নিরাময় করা হয় এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কাদের ইউরিন ইনফরম বেশি হয়?
ইউরিন ইনফরন গ্রুপ (ইউটিআই) পুরাতনে ও লিঙ্গে হতে পারে, তবে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ এর মধ্যে ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। যাদের মধ্যে ইউরিন ইনফেকশনের বিপদ বেশি তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- নারী
- গর্ভবতী নারী
- ডায়াবেটিস রোগী
- বৃদ্ধ ও বয়স্করা
- যারা দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন
- যৌন মিলনকারী ব্যক্তি
- ব্যক্তিগত ক্যাথেটার ব্যবহারকারীরা
যারা প্রস্রাবের জন্য ক্যাথেটার ব্যবহার করেন (বিশেষ করে হাসপাতালের রোগীরা), তাদের ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি।
- যাদের পানির অভ্যাস কম
বিশেষ করে- নারী, গর্ভবতী, ডায়াবেটিক রোগী, বয়স্ক ব্যক্তি ও দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখা বা ক্যাথেটার ব্যবহারকারীদের ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। প্রতিদিন যথেষ্ট পানি পান, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা এই রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা
ইউরিন ইনফেকশনসহ যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পদ্ধতি। কারণ একবার সংক্রমণ হলে চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণে সময়, অর্থ এবং পরিশ্রম লাগে। আর কিছু ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে সমস্যা জটিল হয়ে যেতে পারে।
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করা
- পর্যাপ্ত পানি পান
- প্রস্রাব চেপে না রাখা
- সঠিক খাদ্যাভ্যাস পালন করা
- যৌন সম্পর্কের সময় সতর্কতা অবলম্বন
- ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগের নিয়ন্ত্রণ
- সঠিক পরিচ্ছন্ন পোশাক ও কটন আন্ডারয়ার ব্যবহার
- ক্যাথেটার ব্যবহার সীমিত করা
ইউরিন ইনফরম্যান্স সহ রোগিনীর কাছ থেকে সঠিক সমাধান গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা। এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায়, অর্থ ও সময় বাঁচায় এবং দীর্ঘমেয়াদী শক্তি নিশ্চিত করে। বাসক ওপান স্বাস্থ্যবান অভ্যাস বাসক ভিক্ষাই পাওয়ার চাবিঠি।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
ইউরিন ইনফেকশন অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া চিকিৎসায় ভালো হয়ে যেতে পারে, তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কারণ সংক্রমণ যদি কিডনি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রস্রাবে রক্ত দেখা গেলে
- উচ্চ জ্বর বা ঠান্ডা লাগা
- তীব্র পিঠ বা তলপেটে ব্যথা
- ঘন ঘন প্রস্রাব হলেও আরাম না পাওয়া
- অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েও উপশম না হওয়া
- গর্ভবতী নারীদের ইউরিন ইনফেকশন হলে
- বায়স্ক বাদিয়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে
ইউরিন ইনফেকশন প্রথম পর্যায়ে ঘরোয়া উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কিছু গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ সময়মতো চিকিৎসা না নিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে কিডনি সমস্যা, সেপসিস বা অন্যান্য মারাত্মক জটিলতা তৈরি হতে পারে। সুস্থ থাকতে হলে সচেতনতা এবং চিকিৎসকের পরামর্শই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।
আরো পড়ুনঃ আমাশয় রোগীর খাদ্য তালিকা | কী খাবেন, কী খাবেন না – বিস্তারিত জানুন সহজ ভাষায়
উপসংহারঃ
ইউরিন ইনফেকশন একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর সমস্যা। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা ব্যথা বেড়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই পারে আপনাকে ইউরিন ইনফেকশন থেকে মুক্ত রাখতে।
কোনো রোগ বা সমাধান কার্যকর এর প্রতিরোধ ও তার উপর প্রভাব ফেলে। ইউরিন ইনফেকশন এর ক্ষেত্রেও এটি সত্য। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা এবং পানি পান করাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
দেখা প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। দীর্ঘস্থায়ী বা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা, কারণ এটি রোগের ঝুঁকি কমায় শরীরকে ও সমর্থনকে।
তাই, নিজের ব্যক্তিগত পরিনততা, পরিমিত পানীয় গ্রহণ, প্রস্রাব চেপে না এবং স্বাস্থ্যকর অব্যবহার করার জন্য ইউরিন ইউরিন ইউরিন ইউরিন আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ রোগ থেকে মুক্তি থাকার প্রধান মাধ্যমে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সময় চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা জীবন নিশ্চিত করতে পারি।
আরো টপিক বা স্বাস্থ্যের ওপর আর্টিকেল পড়তে চাইলে জানাতে পারেন। এরকম আর্টিকেল পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url