যে সব ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না - ইসলামী দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ

যে সব ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না - ইসলামী দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ

আপনারা যারা "যে সব ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না" এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন, ইসলাম অনুযায়ী সেই সব শ্রেণির মানুষ কারা, যাদের দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। এই বিশেষ ফজিলতপূর্ণ বিষয়টি সহজ ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে।

যে সব ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না - ইসলামী দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ

চলুন আর দেরি না করে আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নেই, যে সব ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না-ইসলামী দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ সেই সম্পর্কে।

যে সব ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না

ইসলামে দোয়া হলো বান্দা ও রবের মধ্যে একটি সরাসরি সংযোগ। প্রতিটি মুসলমানের বিশ্বাস থাকা উচিত যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দোয়া কবুল করেন। তবে এমন কিছু বিশেষ ব্যক্তি আছেন, যাদের দোয়া কখনোই ফেরত দেওয়া হয় না। হাদীস শরীফ ও কুরআনের আলোকে জেনে নিই সেই সব ব্যক্তির পরিচয়, যাদের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। ইসলাম অনুযায়ী ছয়টি শ্রেণির মানুষ রয়েছেন, যাদের দোয়া কখনো ফেরত যায় না - মজলুম, মুসাফির, রোজাদার, ন্যায়পরায়ণ শাসক, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া এবং বিশেষভাবে মায়ের দোয়া। এই বিষয়টি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই গুরুত্ব বুঝে নিজের জীবন পরিচালনা করা।

আরো পড়ুনঃ কবর জিয়ারতের আসল নিয়ম ও দোয়া। 

মজলুম (অত্যাচারিত ব্যক্তি)

মজলুম অর্থ হলো সেই ব্যক্তি, যিনি অন্যায়ভাবে কারো দ্বারা নিপীড়িত, নির্যাতিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইসলামে মজলুমের অবস্থান অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। কারণ, মজলুমের দোয়া ও আহাজারি আল্লাহ কখনোই অগ্রাহ্য করেন না। হাদীস শরীফে স্পষ্টভাবে এসেছে - “মজলুমের দোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।” (সহীহ বুখারী, মুসলিম)

মজলুম যখন কাউকে নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে আল্লাহর কাছে হাত তোলে, তখন সেই দোয়া আকাশ চিরে সোজা আরশে পৌঁছে যায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই দোয়া দ্রুত কবুল করেন, যদিও তা সময় নিয়ে বাস্তবায়ন করেন।

এটি শুধু ব্যক্তি পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নয়, কোনো জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মীয় সম্প্রদায় যদি মজলুম হয়, তাদের জন্যও আল্লাহর সাহায্য অবধারিত। তাই ইসলাম মজলুমের পক্ষে দাঁড়াতে এবং জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়।

এই কারণে, মুসলমানদের উচিত-

  • কখনো কারো উপর জুলুম না করা
  • মজলুমকে সাহায্য করা
  • এবং যদি কখনো নিজে মজলুম হন, তবে ধৈর্য ধরে আল্লাহর কাছে দোয়া করা

আল্লাহর আদালতে মজলুমের দোয়া এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র - যা পৃথিবীর কোনো শক্তি প্রতিহত করতে পারে না। তাই একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, নিজে জুলুম থেকে বাঁচা এবং জুলুমকারীর বিরুদ্ধে ন্যায়ের পথে দাঁড়ানো। তাই ইসলাম মজলুমকে সহানুভূতি ও সম্মান দিয়ে দেখে এবং অন্যকে জুলুম থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।

হাদীসঃ
রাসূল (সা.) বলেছেন-

“মজলুমের দোয়া থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, তার ও আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।” (সহীহ বুখারী, মুসলিম)

কারণঃ

মজলুম যখন কারো বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার দেয়, তখন আল্লাহ নিজে সেই দোয়ার বিচারকার্য হাতে নেন। এটা আল্লাহর ন্যায়ের প্রকাশ। এ কারণে জুলুম কখনো স্থায়ী হয় না, আর মজলুমের দোয়া অগ্রাহ্য হয় না।

মুসাফির (ভ্রমণরত ব্যক্তি)

ইসলামে মুসাফির, অর্থাৎ ভ্রমণরত ব্যক্তি, একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন যে মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। কেননা, মুসাফির সাধারণত কষ্টে থাকে, পরিবার ও নিরাপত্তার বাইরে অবস্থান করে এবং তার হৃদয় আরও বিনয়ী থাকে। এই অবস্থায় তার দোয়া আন্তরিকতা ও নির্ভরতাপূর্ণ হয়, যা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার বড় কারণ।

হাদীস অনুযায়ী, মুসাফিরের দোয়া তিনটি কবুলযোগ্য দোয়ার একটি হিসেবে গণ্য হয়। তাই একজন ভ্রমণরত ব্যক্তি যেন নিজের ও অন্যদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করে। আবার অন্যরাও যেন মুসাফিরের কাছে দোয়া চায়, কারণ সেই সময় আল্লাহ তার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। এই ফজিলতের জন্য ইসলাম মুসাফিরদের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানায়।

এ থেকেই বোঝা যায়, মুসাফির অবস্থায় থাকা কেবল কষ্ট নয়, বরং তা এক আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামতস্বরূপ, যেখানে দোয়া সহজে কবুল হয়।

হাদীসঃ

“তিনটি দোয়া কবুল হয় যাতে কোনো সন্দেহ নেই-... এর একটি হলো মুসাফিরের দোয়া।” (আবু দাউদ)

কারণঃ

ভ্রমণে থাকা ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্টে থাকে। এই অবস্থায় আল্লাহ তার কষ্টকে গুরুত্ব দেন এবং তার দোয়াকে কবুল করে নেন। ভ্রমণকালে বেশি বেশি দোয়া করা এক বিশাল ফজিলতপূর্ণ আমল।

পিতা-মাতার সন্তানের জন্য দোয়া

ইসলামে পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জন্য একটি অমূল্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হাদীস শরীফে স্পষ্টভাবে বলেছেন, এমন তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ প্রত্যাখ্যান করেন না, তাদের একজন হলেন পিতা-মাতা, যারা সন্তানের জন্য দোয়া করেন। এই দোয়া হতে পারে সন্তানের জীবনে সফলতা, সুস্থতা, ঈমানদারিত্ব ও কল্যাণের চাবিকাঠি।

বিশেষ করে মায়ের দোয়া সন্তানের জন্য অত্যন্ত প্রভাবশালী। মা-বাবার অন্তরের গভীর থেকে উচ্চারিত দোয়া সন্তানের ভাগ্য গঠন করে, তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং আল্লাহর রহমত ডেকে আনে।

তবে এটিও সত্য, মা-বাবার অভিশাপরূপী দোয়াও সন্তানের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সন্তানের উচিত পিতা-মাতার মনে কষ্ট না দিয়ে সবসময় তাদের খুশি রাখা ও দোয়া কামনা করা। এই সম্পর্কটিকে যত বেশি সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে রক্ষা করা যায়, তত বেশি দোয়া ও বরকতের দরজা খুলে যায় সন্তানের জন্য।

সংক্ষেপে বলা যায়, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া এমন এক আমল, যা আল্লাহর দরবারে বিশেষভাবে কবুল হয় এবং সন্তানের জীবন বদলে দিতে পারে।

হাদীসঃ

“তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়-তাদের মধ্যে একজন হলো পিতা-মাতার দোয়া সন্তানদের জন্য।” (তিরমিজি)

কারণঃ

পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে। বিশেষ করে মায়ের মুখ থেকে উঠে আসা দোয়া সন্তানের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এই দোয়া হতে পারে ভালো কিংবা অভিশপ্ত – তাই সন্তানদের উচিত সবসময় পিতা-মাতার খুশি রাখা।

আরো পড়ুনঃ কুরাইশদের আল্লাহ নিরাপত্তা দিলেন কেন?

ন্যায়পরায়ন শাসকের দোয়া

ইসলামে ন্যায়পরায়ণ শাসককে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি জনগণের কল্যাণ ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদীসে বলেন, তিনজনের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না- তাদের মধ্যে একজন হল ন্যায়পরায়ণ শাসক। এমন শাসকের দোয়া শুধু তার নিজের জন্য নয়, বরং পুরো জাতির মঙ্গল বয়ে আনে।

ন্যায়পরায়ণ শাসক সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখেন, দুর্নীতি দমন করেন এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী শাসন চালান। তার দোয়া হয় আন্তরিক ও দায়িত্ববোধপূর্ণ। এজন্য তার দোয়া আল্লাহর দরবারে বিশেষ গুরুত্ব পায় এবং তা দ্রুত কবুল হয়।

সার্বিকভাবে, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া একটি জাতির উন্নতি ও রহমতের দরজা খুলে দেয়। তাই প্রতিটি মুসলিম শাসকের উচিত আল্লাহভীতির সঙ্গে ন্যায়ের পথ অনুসরণ করা এবং বেশি বেশি দোয়া করা।

হাদীসঃ

“আল্লাহ তায়ালা তিন ব্যক্তির দোয়া প্রত্যাখ্যান করেন না... তাদের একজন হল ন্যায়পরায়ণ শাসক।” (তিরমিজি)

কারণঃ

ন্যায়বান শাসক সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। তাই তার দোয়া আল্লাহর কাছে মর্যাদার অধিকারী। শাসকের দোয়া একটি জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।

রোজাদারের ইফতারের সময়ের দোয়া

ইফতারের সময় একজন রোজাদার সর্বোচ্চ আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মত্যাগের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় মুখে তুলে নেন প্রথম খাদ্য। এই মুহূর্তে রোজাদার থাকে অত্যন্ত বিনম্র, হৃদয় হয় নরম ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ নির্ভরশীল। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, রোজাদারের ইফতারের সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। কারণ, রোজা রাখার মাধ্যমে সে নিজের নফসকে দমন করে, খাওয়া-পানাহীন থাকে এবং আল্লাহর হুকুম পালনে দৃঢ় থাকে।

ইফতারের সময় এই আত্মিক সংযম ও ইবাদতের পূর্ণতা পায়। তাই এই সময় দোয়া করলে তা আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হয় নিশ্চিতভাবেই। এ সময় নিজের ও অন্যদের জন্য খালেস মনে করে দোয়া করা উচিত, কারণ এই বিশেষ মুহূর্তে দোয়ার দরজা খোলা থাকে। এই ফজিলতের কারণে প্রতিটি রোজাদারের উচিত ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে আন্তরিক দোয়া করা।

সংক্ষেপে রোজাদারের ইফতারের সময় দোয়া একটি কবুল হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া মুহূর্ত। এই সময় হৃদয় থেকে করা দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। এটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ও সম্মানিত সময়ের একটি।

হাদীসঃ

“রোজাদারের ইফতারের সময়ের দোয়া ফেরত দেয়া হয় না।” (ইবনে মাজাহ)

কারণঃ

সারাদিন রোজা রেখে একজন রোজাদার যখন ইফতার করার মুহূর্তে দোয়া করে, তখন সে থাকে অত্যন্ত নম্র ও বিনয়ী। আল্লাহ এই আন্তরিকতা ও আত্মত্যাগকে ভালোবাসেন, তাই এই দোয়াও অবশ্যই কবুল করেন।

সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া

ইসলামে মা-বাবার দোয়ার গুরুত্ব অত্যন্ত বিশাল। বিশেষ করে যখন তারা তাদের সন্তানের জন্য দোয়া করেন, তখন সেই দোয়া সহজেই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। যেমন ভালো দোয়া সন্তানের জন্য আশীর্বাদ হয়, তেমনি রাগ করে করা বদদোয়াও হতে পারে অভিশাপ। এজন্য সন্তানদের উচিত সবসময় পিতা-মাতার প্রতি ভক্তিশীল ও বাধ্য থাকা, যাতে তারা খুশি হয়ে সন্তানের জন্য দোয়া করেন।

মা-বাবার দোয়া সন্তানের রিজিক, শিক্ষা, চরিত্র, জীবনযাত্রা ও ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে। মা-বাবার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা দোয়া এমন এক নিঃস্বার্থ প্রার্থনা, যেখানে শুধু সন্তানের মঙ্গলই কামনা করা হয়। এজন্য ইসলাম বারবার মা-বাবার প্রতি সদ্ব্যবহার ও সেবা করার নির্দেশ দিয়েছে। এই দোয়াই হতে পারে সন্তানের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতার চাবিকাঠি।

সংক্ষেপে বলা যায়, সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া একটি অমূল্য সম্পদ। এটি কখনোই আল্লাহ ফেরান না এবং এই দোয়াতেই লুকিয়ে থাকে সন্তানের সৌভাগ্য, সাফল্য ও পরকালীন মুক্তির পথ।

যদিও আগেই বলা হয়েছে সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া ফেরত যায় না, তবু বিশেষভাবে "মায়ের দোয়া" আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য।

হাদীসঃ

“তোমার মায়ের দোয়া থেকে সাবধান হও, কারণ তার দোয়া অভিশাপও হতে পারে।” (আহমদ)

কারণঃ

মায়ের হৃদয় অত্যন্ত কোমল ও সংবেদনশীল। মায়ের চাওয়া বা না চাওয়ার মাঝেই সন্তানদের ভাগ্য গড়ে উঠে। তাই সন্তানের উচিত মা-বাবাকে সদা খুশি রাখা।

আরো পড়ুনঃ ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ ৩ সময় ! আল্লাহর নিকট মাফ পাওয়ার উপযুক্ত মুহূর্ত সম্পর্কে জেনে নিন।

উপসংহারঃ

ইসলামের দৃষ্টিতে দোয়া একটি অত্যন্ত মহান গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী ইবাদত। তবে কিছু বিশেষ শ্রেণির মানুষের দোয়া এমনভাবে আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়, যেগুলো ফেরত দেওয়া হয় না। এই প্রবন্ধে আমরা এমন ছয়টি শ্রেণির ব্যক্তির কথা জেনেছি - মজলুম, মুসাফির, রোজাদার, ন্যায়পরায়ণ শাসক, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া এবং বিশেষভাবে মায়ের দোয়া।

প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আল্লাহর ন্যায়বিচার, করুণা ও ভালোবাসার নিদর্শন স্পষ্ট। মজলুমের দোয়ায় আল্লাহ বিচারক হয়ে দাঁড়ান, মুসাফিরের কষ্টপূর্ণ অবস্থায় দোয়া কবুল করেন, রোজাদারের ইফতারের মুহূর্তে দোয়া গ্রহণ করেন, ন্যায়বান শাসকের ন্যায়-নীতি মূল্যায়ন করেন, আর পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জন্য এক মহা আশীর্বাদে রূপ নেয়।

এই জ্ঞান আমাদের শেখায় - আমরা যেন মজলুমের ওপর জুলুম না করি, বরং মজলুমের পাশে দাঁড়াই; ভ্রমণরত ব্যক্তির কাছে দোয়া চাই, রোজা রাখার সময় আল্লাহর কাছে চাওয়া-প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকি, শাসক হলে ন্যায়ের পথে থাকি এবং সর্বোপরি পিতা-মাতার খেদমত করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করি।

এই আমল ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জীবনে বরকত, সাফল্য ও আল্লাহর রহমত এনে দিতে পারে। আল্লাহ যেন আমাদের এই শিক্ষা অনুসারে জীবন গঠনের তাওফিক দেন, আমিন।

আরও ইসলামিক টপিকে আর্টিকেল চাইলে জানাতে পারেন। প্রতিনিয়ত এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুনঃ 

https://www.facebook.com/profile.php?id=61577238192159

যাই হোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url