একজন মুসলিমের জন্য ১০টি নিষিদ্ধ কাজ | ইসলামিক জীবন গাইড

একজন মুসলিমের জন্য ১০টি নিষিদ্ধ কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ইসলাম ধর্মে একজন মুসলিমের জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা, আর সেই লক্ষ্য পূরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সঠিক পথে চলা। কুরআন ও হাদিস আমাদের জীবনযাপনের প্রতিটি ধাপে দিকনির্দেশনা দিয়েছে—কোনটি কল্যাণকর আর কোনটি ক্ষতিকর। কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ইসলামে খুবই স্পষ্ট ও কঠোর। এসব নিষিদ্ধ কাজ এড়িয়ে চললে একজন মুসলিমের ঈমান আরও দৃঢ় হয় এবং তার চরিত্র গড়ে ওঠে সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে।

এই নিষেধগুলো কোনো সীমাবদ্ধতা নয়; বরং এগুলো মানুষের জীবনকে পবিত্র, নিরাপদ ও অর্থবহ করার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক দয়াময় সতর্কতা। যে ব্যক্তি সচেতনভাবে এসব কাজ থেকে দূরে থাকে, সে শুধু দুনিয়াতে শান্তি খুঁজে পায় না, বরং আখিরাতের সফলতার পথও সহজ করে নেয়। নিচে আমরা এমনই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ তুলে ধরেছি, যেগুলো থেকে একজন মুসলিমের দূরে থাকা একান্ত প্রয়োজন।

একজন মুসলিমের জন্য ১০টি নিষিদ্ধ কাজ | ইসলামিক জীবন গাইড
চলুন এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই, একজন মুসলিমের জন্য ১০টি নিষিদ্ধ কাজ | ইসলামিক জীবন গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত।

১। শিরক (আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা)

ইসলামে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ভয়ংকর গুনাহ হলো শিরক। সহজ কথায় বলতে গেলে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ক্ষমতার মালিক মনে করা, বিপদে-আপদে আল্লাহর পরিবর্তে কারো কাছে সাহায্য চাওয়া, কিংবা কাউকে এমন মর্যাদায় বসানো - যা একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য - এসবই শিরকের অন্তর্ভুক্ত। অনেক সময় মানুষ অজান্তেই এই ভুল করে ফেলে। কারো ওপর অন্ধ বিশ্বাস, তাবিজ-কবচে ভরসা, বা কোনো ব্যক্তিকে ভাগ্য পরিবর্তনের একমাত্র শক্তি মনে করাও শিরকের দিকে নিয়ে যেতে পারে। শিরক শুধু একটি বিশ্বাসগত ভুল নয়; এটি মানুষের ঈমানের মূলকে দুর্বল করে দেয়। 

কুরআনে আল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেনঃ

তিনি সব গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন, কিন্তু শিরক করলে তা তওবা ছাড়া ক্ষমা করা হয় না। তাই একজন মুসলিমের উচিত সব আশা, ভয় ও ভরসা একমাত্র আল্লাহর ওপর রাখা - কারণ তিনিই একমাত্র সাহায্যকারী, আর তিনিই সব কিছুর মালিক।

২। জিনা (ব্যভিচার করা)

জিনা এমন একটি গুনাহ, যা ধীরে ধীরে মানুষের হৃদয়কে অসাড় করে দেয় এবং সমাজের ভিত নড়িয়ে দেয়। ইসলাম শুধু ব্যভিচারকেই নিষিদ্ধ করেনি, বরং যেসব পথ মানুষকে এই পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়—সেসব পথ থেকেও দূরে থাকতে বলেছে। কারণ একবার এই পথে পা বাড়ালে শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি পরিবার, এমনকি পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

বিশ্বাস ভেঙে যায়, লজ্জাবোধ হারিয়ে যায়, আর সম্পর্কগুলো হয়ে ওঠে অর্থহীন। জিনা মানুষের আত্মসম্মান নষ্ট করে, হৃদয়ে অস্থিরতা তৈরি করে এবং আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই ইসলাম পবিত্রতা, সংযম এবং বৈধ সম্পর্কের ওপর এত গুরুত্ব দিয়েছে - যাতে মানুষ শুধু দেহের নয়, মন ও আত্মার দিক থেকেও নিরাপদ থাকতে পারে।

 কুরআনে আল্লাহ বলেছেনঃ

“তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেও না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং খুবই নিকৃষ্ট পথ।” (সূরা ইসরা: ৩২)

৩। মদ্যপান ও নেশা করা

মদ্যপান ও নেশা এমন এক পথ, যা প্রথমে আনন্দের মায়া দেখায় কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষকে নিজের কাছ থেকেই দূরে সরিয়ে দেয়। ইসলামে মদ ও যেকোনো ধরনের নেশাকে হারাম করা হয়েছে, কারণ এগুলো মানুষের বিবেক, বুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মানুষ ভুল আর সঠিকের পার্থক্য বুঝতে পারে না, ফলে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে কটু কথা, হাত দিয়ে ঘটে যায় অন্যায় কাজ। 

অনেক সময় একটি মাত্র নেশার অভ্যাসই পরিবার ভাঙনের কারণ হয়, সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেয় এবং সমাজে অশান্তি তৈরি করে। ইসলাম চায় মানুষ যেন সচেতনভাবে জীবন যাপন করে, নিজের কাজের দায় নিজে বোঝে এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত আল্লাহর ভয় ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে নেয়। তাই মদ্যপান ও নেশা শুধু একটি ব্যক্তিগত পাপ নয়, বরং এটি পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর একটি নিষিদ্ধ কাজ।

কুরআনে বলা হয়েছেঃ

“হে ঈমানদারগণ ! মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারণের তীর শয়তানের অপবিত্র কাজ, সুতরাং তোমরা এগুলো থেকে বেঁচে থাকো।” (সূরা মায়েদা: ৯০)

৪। সুদ গ্রহণ ও প্রদান

ইসলাম সুদকে হারাম ঘোষণা করেছে কারণ এটি মানুষের জীবনে আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করে। সহজ কথায়, সুদ হলো এমন একটি লেনদেন যেখানে একজন মানুষ অন্যের ওপর অতিরিক্ত চাপ বা ঝুঁকি চাপিয়ে তার টাকা বাড়ায়। এতে ধনী আরও ধনী হয়, আর গরিব আরও অসহায় হয়ে পড়ে। শুধু অর্থের নয়, সম্পর্ক ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও সুদ মানুষকে দুর্বল করে। আল্লাহ আমাদের সতর্ক করেছেন, যাতে আমরা ন্যায়, সহযোগিতা এবং সাহায্যের মাধ্যমে একে অপরের পাশে থাকি, অথচ সুদ গ্রহণ ও প্রদানের মাধ্যমে আমরা সমাজে অস্থিরতা ও অন্যায়কে উসকে দিই। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ এড়ানো কেবলই ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নয়, বরং মানবিক জীবনের সুরক্ষাও।

কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ

“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিন এমনভাবে উঠবে, যেমন শয়তান তাকে আঘাত করে পাগল করে দিয়েছে।” (সূরা বাকারা: ২৭৫)

৫। মিথ্যা কথা বলা

মিথ্যা বলা শুধু একটি শব্দের খেলা নয়, এটি মানুষের চরিত্র এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে। যখন আমরা মিথ্যা বলি, তখন শুধু অন্যকে বিভ্রান্ত করি না, নিজের অন্তরের সততা ও আত্মসম্মানও হারাই। ছোট বা বড় - প্রতিটি মিথ্যা সমাজে অশান্তির বীজ বুনে দেয়। একজন মুসলিমের জীবনে সত্যবাদিতা কেবল নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি ঈমানের এক অংশ। তাই প্রতিদিনের জীবনে সত্য বলার চেষ্টা করা, এমনকি ছোট ছোট বিষয়েও, আমাদের চরিত্রকে দৃঢ় এবং সম্পর্কগুলোকে টেকসই করে তোলে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ “মুমিন মিথ্যাবাদী হতে পারে না।” (মুসনাদে আহমাদ)

৬। গিবত (পরনিন্দা করা)

গীবত হলো এমন কাজ যেখানে কেউ অনুপস্থিত ব্যক্তির সম্পর্কে খারাপ কথা বলে। এটা শুধু মানুষকে কষ্ট দেয় না, বরং সমাজের মধ্যে বিশ্বাস ও সম্পর্কেরও ক্ষতি করে। ইসলামে গীবতকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ এটি মানুষের আত্মসম্মান ধ্বংস করে এবং মনের অশান্তি বৃদ্ধি করে। গীবতের পরিবর্তে অন্যের ভালো দিকগুলো দেখা এবং প্রশংসা করা শিক্ষিত ও সৎ মানুষের চিহ্ন। পরনিন্দা এড়িয়ে চললে মানুষ নিজেও শান্তি ও মানসিক সাফল্য পায়।

কুরআনে বলা হয়েছেঃ

“তোমরা একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?” (সূরা হুজরাত: ১২)

৭। অন্যায়ভাবে হত্যাকাণ্ড

ইসলামে জীবন অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। কোনো ব্যক্তি অন্যের সম্মতি ছাড়া জীবন ছিনিয়ে নেওয়া - যা অন্যায় হত্যা বা মর্ডার হিসেবে পরিচিত - পূর্ণভাবে হারাম। এটি শুধুমাত্র সমাজের জন্য বিপদ তৈরি করে না, বরং আত্মার জন্যও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। কুরআনে বলা হয়েছে, “যে কেউ অন্যকে অবৈধভাবে হত্যা করবে, যেন সে সারা বিশ্বের মানুষকে হত্যা করেছে।” অন্যায়ের কারণে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কাজ শুধুমাত্র দণ্ড বা শাস্তি নয়, বরং মানবতার মূলনীতির বিরুদ্ধেও। তাই একজন মুসলিমকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে, নিজের রাগ, লোভ বা অন্যায় প্রভাব থেকে দূরে থাকতে হবে এবং মানুষের জীবনকে সম্মান দিয়ে দেখতে হবে।

কুরআনে বলা হয়েছেঃ

“যে ব্যক্তি একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে, সে যেন সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা করল।” (সূরা মায়েদা: ৩২)

৮। অভিভাবকদের অবাধ্য হওয়া

একজন মুসলিম হিসেবে অভিভাবকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সেবা রাখা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের অবাধ্য হওয়া শুধু একটি ছোট ভুল নয়; এটি আত্মার পবিত্রতার ওপর প্রভাব ফেলে। যখন সন্তান তার মা-বাবার কথা অবজ্ঞা করে বা তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে, তখন তা কেবল পরিবারের সম্পর্ককে দুর্বল করে না, বরং আল্লাহর চোখেও অপ্রীতিকর মনে হয়। ইসলামে এমন আচরণকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ মা-বাবার সম্মান রক্ষা করা হল সন্তান হিসাবে আপনার দায়িত্ব ও নৈতিক কর্তব্য। পরিবারের মধ্যে শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে অভিভাবকের পরামর্শ মেনে চলা এবং তাদের প্রতি সদয় আচরণ করা অপরিহার্য। এই শ্রদ্ধা শুধু সামাজিক শান্তি নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথও।

কুরআনে বলা হয়েছেঃ

“তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তুমি তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।” (সূরা ইসরা: ২৩)

৯। প্রতারণা করা

প্রতারণা করা শুধু অন্যকে ক্ষতি করা নয়, এটি মানুষের আত্মার জন্যও বিষাক্ত। যখন আমরা সৎ পথে না থেকে অন্যকে ঠকাই, তখন নিজের চরিত্র ও সম্মানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করি। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, ধূর্ততা বা প্রতারণা কোনো পরিস্থিতিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যবসা, বন্ধুত্ব বা দৈনন্দিন জীবনের সম্পর্ক - সবক্ষেত্রেই সততা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সততার মাধ্যমে বিশ্বাস গড়ে ওঠে, সম্পর্ক দৃঢ় হয়, আর সমাজে ন্যায়ের আলো ছড়িয়ে পড়ে। প্রতারণা থেকে বিরত থাকাই কেবল আল্লাহর নিকট সন্তুষ্টির পথ নয়, বরং নিজের মন ও জীবনকে শান্তির দিকে পরিচালিত করার সর্বোত্তম উপায়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ “যে প্রতারণা করে, সে আমার অনুসারী নয়।” (সহিহ মুসলিম)

১০। জুয়া খেলা

জুয়া খেলা ইসলামে হারাম হিসেবে বিবেচিত, কারণ এটি শুধু অর্থ হারানোর খেলা নয়, বরং মানুষের মানসিক ও সামাজিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। জুয়া মানুষকে লোভী, অধৈর্য ও অসচেতন করে তোলে। কখনও কেউ জুয়া দিয়ে ধনী হয় না; বরং সম্পর্ক, আত্মসম্মান ও পরিবারের শান্তি ভেঙে যায়। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়, অর্থ অর্জনের পথে পরিশ্রম ও সততার মূল্য সবচেয়ে বড়। তাই জুয়া থেকে দূরে থাকা শুধু গুনাহ থেকে বাঁচানো নয়, এটি আমাদের জীবনকে নিরাপদ, সুন্দর ও স্থিতিশীল রাখার এক প্রাকটিক্যাল উপায়।

কুরআনে বলা হয়েছেঃ 

“জুয়া ও মদ শয়তানের কাজ, তাই এগুলো থেকে দূরে থাক।” (সূরা মায়েদা: ৯০)

উপসংহার

ইসলামে উপরের সব কাজগুলো কঠোরভাবে হারাম হিসেবে বিবেচিত। একজন মুসলিমের জন্য এগুলো থেকে বিরত থাকা তার ঈমান ও নেক কাজের ভিত্তিকে দৃঢ় করে। কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন করে, আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও ভরসা রাখলে মানুষ নিজের জীবনকে পাপ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের সকলকে ন্যায় ও সত্যের পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

[আপনি চাইলে এই আর্টিকেলটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করতে পারেন] 

কীভাবে এই আর্টিকেলটি আরও উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে আপনার কোনো পরামর্শ থাকলে দয়া করে জানাবেন। 

আপনি যদি আরও এই ধরনের গাইড, টিপস বা টিউটোরিয়াল পড়তে চান, তাহলে নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের সাইটে  https://www.baneswarit.com/ এবং আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুনঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=61577238192159

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url