অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে নতুন নিরাপত্তা ফিচার ‘আইডেনটিটি চেক’! কীভাবে কাজ করে জানুন বিস্তারিত

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় নতুন ফিচার ! ‘আইডেনটিটি চেক’ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা যারা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় নতুন ফিচার ! ‘আইডেনটিটি চেক’ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে যুক্ত হলো নতুন সিকিউরিটি ফিচার ‘আইডেনটিটি চেক’। তাই জেনে নিন এই ফিচার কীভাবে আপনার তথ্য সুরক্ষায় কাজ করবে এবং কীভাবে এটি এক্টিভ করবেন।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে নতুন নিরাপত্তা ফিচার ‘আইডেনটিটি চেক’! কীভাবে কাজ করে জানুন বিস্তারিত

চলুন এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় নতুন ফিচার ! ‘আইডেনটিটি চেক’ সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকাঃ

বর্তমান যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে ব্যাংকিং কার্যক্রম, সবকিছুই এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে এর পাশাপাশি নিরাপত্তার ঝুঁকিও বেড়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে, গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে নতুন একটি ফিচার – ‘আইডেনটিটি চেক’। এটি ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরো পড়ুনঃ আগামী ১০ বছরে স্মার্টফোন এর বিদায়! নতুন প্রযুক্তির যুগ বিস্তারিত নিন।

কী এই ‘আইডেনটিটি চেক’?

‘আইডেনটিটি চেক’ একটি উন্নত নিরাপত্তা ফিচার যা ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করে। এই ফিচারটি মূলত স্মার্টফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া কার্যক্রম, যেমন লগইন, পেমেন্ট বা ব্যক্তিগত ডেটা অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা যোগ করে।

কীভাবে কাজ করে?

‘আইডেনটিটি চেক’ ফিচারটি নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে কাজ করেঃ

১। বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনঃ ফেস স্ক্যান, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, বা আইরিস স্ক্যান ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই করা।

২। পাসকোড এবং পিনঃ বায়োমেট্রিক অপশন কাজ না করলে ব্যাকআপ হিসেবে পাসকোড বা পিন ব্যবহারের সুযোগ।

৩। রিয়েল-টাইম নোটিফিকেশনঃ কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারকারীকে জানানো।

৪। অ্যাপ ভিত্তিক অনুমতি যাচাইঃ নির্দিষ্ট অ্যাপগুলো ব্যবহার করার আগে ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা।

৫। মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA)ঃ ব্যবহারকারীর ডিভাইস এবং অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে একাধিক স্তরের যাচাইকরণ।

সুবিধাসমূহ ঃ

১। ডেটা সুরক্ষাঃ এই ফিচারটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা, যেমন ফটো, ভিডিও, এবং ব্যক্তিগত বার্তা সুরক্ষিত রাখে।

২। বেঙ্কিং নিরাপত্তাঃ অনলাইনে লেনদেনের সময় অতিরিক্ত সুরক্ষা যোগ করে, ফলে তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৩। চুরি রোধঃ ডিভাইস চুরি হলেও অনুমোদিত না হলে কেউ সেটি আনলক করতে পারবে না।

৪। ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণঃ প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য ব্যবহারকারী সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।

ব্যবহারকারীদের জন্য নির্দেশনাঃ

১। সবসময় ফিচারটি সক্রিয় রাখুন।

২। নির্ভরযোগ্য বায়োমেট্রিক সেটআপ ব্যবহার করুন।

৩।  সন্দেহজনক নোটিফিকেশন পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন।

৪। ডিভাইসে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন।

আরো পড়ুনঃ গুগলের নতুন অধ্যায় ! প্রযুক্তির জগতে এক নতুন বিপ্লব!

ভবিষ্যতের সম্ভাবনাঃ

‘আইডেনটিটি চেক’ অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি কেবল ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্যই নয়, বরং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উপসংহারঃ 

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ‘আইডেনটিটি চেক’ ফিচারটি প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার একটি মাইলফলক। ব্যবহারকারীদের জন্য এটি নতুন মাত্রার সুরক্ষা প্রদান করে, যা ব্যক্তিগত তথ্য

সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি ডিজিটাল জীবনকে করে তুলবে আরও নিরাপদ।

আপনি যদি আরও এই ধরনের গাইড, টিপস বা টিউটোরিয়াল পড়তে চান, তাহলে নিয়মিত চোখ রাখুন 
আমাদের সাইটে  https://www.baneswarit.com/ এবং 
আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুনঃ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url