এই ফোন পানিতে পড়লেও কিছুই হবে না ! জেনে নিন এই ফোনের অসাধারণ পানিরোধী প্রযুক্তি।
এই ফোন পানিতে পড়লেও কিছুই হবে না ! জেনে নিন এই ফোনের অসাধারণ পানিরোধী প্রযুক্তি।
আপনারা যারা এই ফোন পানিতে পড়লেও কিছুই হবে না ! জেনে নিন এই ফোনের অসাধারণ পানিরোধী প্রযুক্তি। সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন এমন স্মার্টফোন বাজারে এসেছে যা পানিতে পড়লেও নষ্ট হয় না। IP67 বা IP68 রেটিংযুক্ত এই ফোনগুলো সম্পূর্ণভাবে পানি ও ধুলা প্রতিরোধে সক্ষম। আপনি যদি বৃষ্টিতে ভিজে যান বা দুর্ঘটনাবশত ফোনটি পানিতে পড়ে যায়, তাও চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই বিশেষ প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে এবং কোন কোন ফোনে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জানতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন। পানিরোধী ফোন কেনার আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।
চলুন এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই, এই ফোনের অসাধারণ পানিরোধী প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত।ভূমিকাঃ
আরো পড়ুনঃ Motorola Edge 50 Neo উন্মোচন! মিড রেঞ্জ দামে ফ্ল্যাগশিপ ফিচারের অভিজ্ঞতা
ওয়াটারপ্রুফ এবং ওয়াটার রেজিস্ট্যান্সঃ পার্থক্য কী?
১। ওয়াটারপ্রুফ ফোনঃ
ওয়াটারপ্রুফ ফোন বলতে এমন ডিভাইস বোঝায় যা পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এটি সাধারণত অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন স্তরে সিল করা থাকে, যাতে পানি ফোনের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।
২। ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফোনঃ
ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফোন পানির ছিটা বা অল্প সময়ের জন্য পানিতে ডুবে গেলে সুরক্ষিত থাকে। তবে দীর্ঘক্ষণ বা গভীর পানিতে রাখলে এটি নষ্ট হতে পারে।
IP রেটিংঃ ফোনের পানি প্রতিরোধ ক্ষমতার মানদণ্ড
ফোনের পানি প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ধারণে IP (Ingress Protection) রেটিং ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণস্বরূপঃ
IP67
এই রেটিং যুক্ত ফোন ১ মিটার পানির গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকতে পারে।
IP68
এটি আরও উন্নত রেটিং, যা ১.৫ মিটার বা তার বেশি গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।
কীভাবে এটি সম্ভব হচ্ছে?
ওয়াটারপ্রুফ ফোন তৈরিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যেমনঃ
১। সিলিং টেকনোলজিঃ
ফোনের পোর্ট এবং বাটনগুলো বিশেষ সিল দিয়ে আবৃত থাকে, যা পানির প্রবেশ রোধ করে।
২। হাইড্রোফোবিক কোটিংঃ
ফোনের সারফেস এবং সার্কিটে একটি বিশেষ কোটিং ব্যবহার করা হয়, যা পানিকে দূরে ঠেলে দেয়।
৩। ন্যানো-কোটিং প্রযুক্তিঃ
ফোনের ইলেকট্রনিক উপাদানগুলোকে পানির সংস্পর্শে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।
ওয়াটারপ্রুফ ফোনের সুবিধাঃ
১। বৃষ্টির মধ্যে ব্যবহার করা যায়ঃ
বৃষ্টির সময় ফোন নষ্ট হওয়ার চিন্তা ছাড়াই ব্যবহার করা সম্ভব।
২। পানির কাছে ছবি বা ভিডিও ধারণঃ
সুইমিং পুল, সমুদ্র বা নদীর ধারে সহজেই ছবি তোলা যায়।
৩। দুর্ঘটনাজনিত পানিতে পড়ে যাওয়াঃ
ফোন পানিতে পড়ে গেলেও চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
৪। দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সঃ
পানি থেকে সুরক্ষা থাকায় ফোনের আয়ুষ্কাল বাড়ে।
জনপ্রিয় কিছু ওয়াটারপ্রুফ ফোনঃ
বাজারে বর্তমানে বেশ কিছু ওয়াটারপ্রুফ ফোন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলঃ
iPhone 15 Pro (IP68 রেটিং)
Samsung Galaxy S23 Ultra (IP68 রেটিং)
Google Pixel 8 Pro (IP68 রেটিং)
Sony Xperia 1 V (IP68 রেটিং)
আরো পড়ুনঃ স্মার্টফোন কিনবেন? কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো!
কীভাবে ওয়াটারপ্রুফ ফোন সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন?
১। ফোনের পোর্ট ও সিলিং ঠিক আছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
২। গভীর পানিতে ব্যবহার করার আগে ফোনের IP রেটিং নিশ্চিত করুন।
৩। দীর্ঘ সময় পানিতে ফোন না রাখাই ভালো।
৪। ফোন ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
শেষ কথাঃ
ওয়াটারপ্রুফ ফোন আধুনিক প্রযুক্তির একটি আশীর্বাদ। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরাম ও সুরক্ষা এনে দিয়েছে। তবে, এ ধরনের ফোন কেনার আগে IP রেটিং যাচাই করা এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। প্রযুক্তির এই উন্নতি ভবিষ্যতে আরও উন্নত সুরক্ষা নিয়ে আসবে বলে আশা করা যায়। আপনার ফোন সুরক্ষিত রাখুন, এবং প্রযুক্তির সুবিধা উপভোগ করুন!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url