হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে ! ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে ! ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা যারা "হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে ! ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট" সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন, হিজরি সন কীভাবে শুরু হলো? কখন, কার মাধ্যমে এবং কী ঘটনার ভিত্তিতে এই ইসলামি বর্ষপঞ্জির সূচনা হয়-এই আর্টিকেলে সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে হিজরি সনের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট। মুসলিম ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব জানতে পড়ুন বিস্তারিত।

হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে ! ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

চলুন আর দেরি না করে আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নেই, হিজরি সন গণনা শুরু হয় যেভাবে ! ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকাঃ

ইসলামী ক্যালেন্ডার বা হিজরি সন হলো চাঁদের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ইবাদতের সময় নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, হিজরি সন গণনার শুরু ঠিক কবে এবং কীভাবে হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা হিজরি সনের ইতিহাস, প্রেক্ষাপট, এবং গণনা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ শাবান মাসের গুরুত্ব ও আমল | প্রিয়নবী (সা.)-এর প্রিয় মাসে আপনি কী করবেন?

হিজরি সনের সূচনাঃ

হিজরি সনের সূচনা হয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের (স্থানান্তরের) ঘটনার উপর ভিত্তি করে। যদিও হিজরত সংঘটিত হয়েছিল ৬২২ খ্রিস্টাব্দে, তবে তখনই হিজরি সনের ব্যবহার শুরু হয়নি।

উমর (রা.)-এর সময় হিজরি সনের প্রবর্তনঃ

হিজরি সনের আনুষ্ঠানিক গণনা শুরু হয় খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর শাসনামলে, খ্রিস্টীয় ৬৩৮ সালে। সাহাবিদের পরামর্শ অনুযায়ী হিজরতের বছরকে ইসলামী ক্যালেন্ডারের প্রথম বছর হিসেবে নির্ধারণ করা হয় এবং মহররম মাসকে প্রথম মাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

হিজরি সনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ

১। চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণঃ হিজরি সন চাঁদের আবর্তনের উপর ভিত্তি করে, ফলে প্রতিটি মাস ২৯ বা ৩০ দিনে সীমাবদ্ধ থাকে।

২। ১২ মাস বিশিষ্টঃ এই ক্যালেন্ডারে মোট ১২টি মাস রয়েছে, যেমন—মহররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানি, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, জুলক্বদ ও জুলহিজ্জা।

৩। ধর্মীয় গুরুত্বঃ ইসলামের প্রধান ইবাদত যেমন রমজান, হজ, আশুরা ইত্যাদি হিজরি সনের ভিত্তিতে পালন করা হয়।

হিজরি সনের গণনার ধরনঃ

হিজরি সন শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। এক মাসের শেষে যদি নতুন চাঁদ দেখা যায়, তবে পরবর্তী মাস শুরু হয়। এটি অনেক সময় ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। কিছু দেশ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, আবার কিছু দেশ বিজ্ঞানভিত্তিক হিসেবও গ্রহণ করে।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ১০টি আমল – দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সোনালী সুযোগ

উপসংহারঃ 

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন, হিজরি সনের ইতিহাস মুসলমানদের জন্য একটি গর্বের অংশ। এটি শুধু একটি ক্যালেন্ডার নয়, বরং মুসলিম ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় চেতনার প্রতীক। এই সনের মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, রোজা, ঈদ, হজ ইত্যাদি পালন করে থাকি।

আপনি যদি আরও এই ধরনের গাইড, টিপস বা টিউটোরিয়াল পড়ুতে চান, তাহলে আমাদের সাইটে চোখ রাখুন নিয়মিত- https://www.baneswarit.com/ এবং আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুনঃ 

https://www.facebook.com/profile.php?id=61577238192159 ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url