রিজিক বৃদ্ধির আমল সমূহ্।
প্রিয় পাঠক গণ, আপনারা যারা জানতে চান, রিজিক বৃদ্ধির আমল সমূহ্ সম্পর্কে, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য, কেননা আজকের আর্টিকেলে রিজিক বৃদ্ধির আমল সমূহ্ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে এবং কি কি আমলের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি ঘটবে সেই সম্পর্কে । তাই রিজিক বৃদ্ধির আমল সমূহ্ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকাঃ রিজিক বৃদ্ধির আমল সমূহ্।
এমন কোনও ব্যক্তি নেই যিনি রিজিক বৃদ্ধি বা আয়-উপার্জনে বরকত আসুক এমনটা চান না। মানুষ মাত্রই চান রিজিকের বৃদ্ধি ঘটুক এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসুক। মানুষ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি চায়। রিজিক যে স্থির হয়ে গেছে তার অর্থ এই নয় যে রিজিক কোনও ভাবেই বেড়ে উঠবে না-এমনটা নয়। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এমন অনেক সময় কালের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে রিজিকে সমৃদ্ধি আসতে পারে।
তওবা-ইস্তিগফার করাঃ
তওবা-ইস্তিগফার করলে বান্দার রিজিক বেড়ে যায়। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, 'আমি তাদেরকে বলেছিলাম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধি করবেন এবং তোমাদের দেবেন বাগবাগিচা ও নদ-নদী। (সূরা নূহ, আয়াত ১০-১২; সূরা ওয়াকিয়াহ, আয়াত ৮২)
আল্লার ওপর ভরসা রাখাঃ
আল্লাহ তা 'আলার প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের সবচেয়ে বড় কাজ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'যে ব্যক্তি আল্লাহ্রর অনুগ্রহ কামনা করবে, তিনি তার জন্য একটি উপায় বের করে আনবেন এবং তাকে এমন এক উৎস থেকে রিযিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। (সূরা আল-সাদঃ ৩৫)
হজ-উমরাহ করাঃ
বার বার হজ ও উমরা করা রিজিককে বাড়িয়ে তোলে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমরা হজ ও উমরাহ করতে থাকো। কারণ এটা অভাব ও পাপ দূর করে, ঠিক যেমন একজন কামার লোহা, সোনা ও রূপা থেকে ময়লা দূর করে। ' (তিরমিজি, হাদীসঃ ৮১০; নাসাই, হাদীসঃ ২৬৩১)
হিজরত করাঃ
আল্লাহ্রর পথে হিজরত করে এবং জিহাদে অংশ গ্রহনের দ্বারা রিজিকে বরকত আসে।আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহ্রর পথে হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে অনেক আশ্রয় ও প্রাচুর্য পাবে। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ১০০)
সময়মতো প্রার্থনা করা এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করাঃ
সময় মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করলে রিজিক বাড়িয়ে তোলে। কাজ এবং ব্যবসার মাঝখানেই নামায আদায় করা উচিত। একই সময়ে, আপনাকে আল্লাহ্রর কাছে প্রার্থনাও করতে হবে। আল্লাহ তা 'আলা বলেন,' আর তোমরা তোমাদের পরিবার বর্গকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং তাতে অটল থাকো। আমি তোমার কাছ থেকে কিছুই চাই না। আমি তোমায় দিয়ে দিচ্ছি। আর মুমিনদের জন্য মঙ্গল। (সূরা আল-তাহাহঃ ১৩২)
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখাঃ
রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম আরেকটি আমল হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা। আল্লাহ তা 'আলা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি এবং তাদের প্রাপ্য প্রদান করি। (সূরা নিসা, আয়াত ৩৬; সূরা বনি ইসরায়েল, আয়াত ২৬)
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠকগণ, যারা এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমলগুলো সম্পর্কে। তাই আসুন আমরা সবাই আমলগুলো মেনে চলি বা মেনে চলার চেষ্টা করি । আর আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
ভিজিট করুনঃ www.baneswarit.com
0 Comments