সুস্থ থাকতে খালি পেটে এই খাবার গুলো খান।
সুস্থ থাকার জন্য খালি পেটে এই খাবার গুলো খান।
ভূমিকাঃ সুস্থ থাকতে হলে খালি পেটে এই খাবার গুলো খান।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং সুস্থ থাকা। সঠিক পুষ্টি ছাড়া, শরীর সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। এর ফলে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। আমরা সবাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত। ফলে আমরা অনেকেই সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারি না। যখন আপনি ক্ষুধার্ত হন, তখন আপনি যা ইচ্ছা তাই খান। এর ফলে বদহজম ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস হলেই গ্যাসের ঔষধ নয়, সুস্থ থাকার জন্য কিছু অভ্যাস মেনে চলুন।
সকালের খাবার এবং রাতের খাবারের মধ্যে একটি দীর্ঘ ব্যবধান রয়েছে। এই সময়ে সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খালি পেটে সঠিক খাবার আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সারাদিন সুশৃঙ্খল রাখে। এটি শরীরকে সুস্থ রাখার চাবিকাঠি। সকালের খাবার দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন।
বাদামঃ
সকালের নাস্তায় আখরোট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি অন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি কেবল হজমে উন্নতি করে না, আপনার পাকস্থলীর পিএইচ স্তরকেও স্বাভাবিক করে। আপনি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে, আপনার এগুলি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।
ভিজিয়ে রাখা বাদামঃ
খালি পেটে আখরোট খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও পাওয়া যায়। বাদামের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সারারাত ভিজিয়ে রাখা বাদাম খাওয়া ভালো।
বাদামের ত্বকে ট্যানিন থাকে যা আপনার শরীরে পুষ্টির শোষণকে বাধা দেয়। খাওয়ার আগে এগুলি সবসময় খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত। তাহলে বাদাম আপনাকে পুষ্টির সঠিক মাত্রা দেবে, যা আপনার মনকে তীক্ষ্ণ করার পাশাপাশি আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুনঃ আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি।
মধুঃ
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং মধুর সাথে গরম পানি পান করা কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলস্বরূপ, আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার সমস্যা হবে না। একই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত পুষ্টিগুলিও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উপরন্তু, মধুতে বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অতএব, আপনি যদি নিয়মিত সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে আপনি অনেক জটিল রোগের কাছাকাছিও আসবেন না।
পেঁপেঃ
সকালে খালি পেটে পেঁপে খাওয়া অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক বিকল্প। খালি পেটে খাওয়ার জন্য পেঁপে একটি সুপারফুড। পেঁপেতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপারে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও থাকে। আর পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। সেই সঙ্গে স্বাদেও মিষ্টি থাকে, তাই সুগারের রোগীদের প্রতিদিন পাকা পেঁপে খেতে দেওয়া হয়। এছাড়াও, অনেকে পরিপাকজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাদেরকে ডাক্তাররা প্রতিদিন পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল রাখর সহজ টিপস্।
পোরিজঃ
আপনি যদি কম-ক্যালোরি এবং উচ্চ-পুষ্টিকর সকালের নাস্তা চান, তাহলে পোরিজ একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। বিশেষ করে ওটমিল থেকে তৈরি পোরিজ সকালের নাস্তার জন্য একটি সুপারফুড। এটি স্বাদেও ভালো এবং শরীরের জন্যও খুব স্বাস্থ্যকর। খালি পেটে পোরিজ খেলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং অন্ত্রও সুস্থ থাকে। ওটমিল খাওয়া আপনার পেটকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে যাতে আপনি অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে পারেন।
তরমুজঃ
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সকালের নাস্তার সাথে তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজে ৯০ শতাংশ পানি থাকে। এই ফলটি শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানি সরবরাহ করে থাকে। এটি কেবল মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে থাকে। এটি খেলে আমরা খুব বেশি ক্যালোরি গ্রহন করি না। তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে যৌগিক লাইকোপিন থাকে, যা হৃৎপিণ্ড এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে মেটাবলিজম বাড়ানোর খাবার সমূহ্।
শেষকথাঃ
প্রিয় পাঠক গণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন সুস্থ থাকতে হলে খালি পেটে এই খাবার গুলো প্রতিদিন সকালে খেলে আপনার কি কি উপকার হবে সেই সম্পর্কে। কিভাবে খেলে আপনার খুব দ্রুত উপকার হবে, এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে। যাই হোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ভিজিট করুনঃ www.baneswarit.com
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url