ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের?

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের? 

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের ? এই বিষয় সর্ম্পকে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ইসরায়েল-ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের এই বিষয় সর্ম্পকে জানতে চান ? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

সূচীপত্র ঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের।

ভূমিকা ঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের।

প্রিয় পাঠকগণ আমরা আজকে  ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের এই সম্পর্কে আলোচনা করব। তা ছাড়া এই  আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন কত বছর ধরে চলে আসছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাত , আর এই সংঘাতে কত লোকের প্রানহানি হয়েছে, এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।  তাই চলুন তাহলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের এই সম্পর্কে আলোচনায় জেনে নিই। 

প্রথমত ঃ

যখনই আমরা ফিলিস্তিন বলি, তখন ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের পাশে আমাদের চোখের সামনে একটি  বিষন্ন  শিশুর মুখ দেখা যায়। আর ইসরায়েল হলো ভারী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল সৈন্যের বন্দুকের সামনে এক নিরস্ত্র ও নির্ভীক যুবকের ছবি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইতিহাস হল বিপন্ন মানুষের ইতিহাস। বেশ কয়েক যুগ ধরে চলছে এই দ্বন্দ্ব । ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণ কী? এই সমস্যার কি কোন সমাধান আছে?

সংকটের প্রধান কারণঃ

ইসরায়েল জেরুজালেম শহরের উপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। ১৯৬৭ সাল থেকে তারা শহরটিকে তাদের রাজধানী হিসেবে দখল করে রেখেছে। আর ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে চায় ।

ফিলিস্তিনিরা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের মতো একই সীমান্তে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র চায়। ইসরায়েল তা মেনে নেয়নি।

ফিলিস্তিনিরা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখলকৃত অবৈধ বসতিগুলি অপসারণ করতে চায়। ইসরায়েল তাতে রাজি নয়। বরং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ৫০০,০০০ ইহুদি পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করে।

১৯৪৮ সাল থেকে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। বর্তমানে এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ১ লক্ষেরও অধিক। তারা দেশে ফিরে যেতে চায়। ইসরায়েল তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না। ইহুদীরা মনে করে যে তারা যদি ফিরে আসে তবে ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র হিসাবে টিকে থাকবে না। বর্তমানে ইসরায়েলে ৯০ লাখ ইহুদি বসবাস করছে। ১৯৪৮ সালে তা ছিল মাত্র ৬ লক্ষ।

সংকটের সমাধান কীঃ


এই সংকটের সমাধান আছে কী ? খুব কঠিন প্রশ্ন। ঠিক আছে, আসুন একটি সম্ভাব্য সমাধানের দিকে নজর দেওয়া যাক। যদি  ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে গ্রহণ করে। সঙ্গে ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের ভূমি বিতরণ চুক্তিও অনুমোদন করে। ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজেদের ভূখণ্ডের মধ্যে চলাচলের জন্য স্বাধীন। ইসরায়েল হামাসকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাহলে এর কি কোনও সমাধান নেই? হয়তো হবেও। কারণ এটাই ছিল ইয়াসির আরাফাতের ফিলিস্তিনি স্বপ্ন। কিন্তু ইস্রায়েল কি এখন তাই করবে ? আমার মনে হয় না।

অপর দিকেঃ


যদি ফিলিস্তিনি সহ সমগ্র আরব বিশ্ব ইসরায়েলকে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসাবে গ্রহণ করে। যদি হামাস সমস্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ত্যাগ করে এবং ইসরায়েলকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে গ্রহণ করে। এতে কি সংকটের সমাধান হবে না ? হয়তো হবেও। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা নাকি সমগ্র আরব বিশ্ব কি একই কাজ করবে ? আমার মনে হয় না।

সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন হল, জেরুজালেম কার হবে ? যদি এই সংকটের সমাধান হয়, তাহলে সম্ভবত সমস্ত দ্বন্দ্ব সমাধান করা সহজ হবে। কিন্তু এটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আর বাকিরা অন্ধকার ভবিষ্যতের মধ্যে বাস করছে। 

কত প্রজন্ম পরে, এবং কত মানুষ মারা যাওয়ার পরে, প্যালেস্টাইনে শান্তি ফিরে আসবে, মানুষ সত্যিই জানে না।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মুল দ্বন্দ্ব কিসের। কি কি বিষয়ে এই সংঘাতময় দ্বন্দ্ব হয়ে আসছে, কত লোকের প্রাণহানি ঘটেছে এই সংঘাতময় দ্বন্দ্বে, কেনই বা মেনে নিতে পারছে না এসব নানা অজানা তথ্য সম্পর্কে । যাই হোক যদি মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments