যে দুই অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে – জেনে নিন কুরআন ও হাদীসের আলোকে সতর্কবার্তা

যে দুই অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে তা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

আপনারা যারা "যে দুই অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে - কুরআন ও হাদীসের আলোকে সতর্কবার্তা" সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা, এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানব মানুষের শরীরের দুটি অঙ্গের গুনাহের কারণে অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে যাবে - রাসূল (সাঃ)-এর বাণীতে এ বিষয়ে কঠোর সতর্কবার্তা এসেছে। জানুন সেই দুই অঙ্গ, তাদের গুনাহের ধরন ও পরিত্রাণের উপায় ইসলামি দৃষ্টিতে।

যে দুই অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে – কুরআন ও হাদীসের আলোকে সতর্কবার্তা
চলুন আর দেরি না করে আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নেই, যে দুই অঙ্গের গুনাহে বেশি মানুষ জাহান্নামি হবে  –  কুরআন ও হাদীসের আলোকে সতর্কবার্তা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকাঃ

ইসলামী শিক্ষা মতে, মানবজীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হওয়া জরুরি। মানুষের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুনাহ এবং নেক আমল উভয়েরই বাহক। তবে কিছু অঙ্গের ব্যবহার ভুল পথে পরিচালিত হলে তা মারাত্মক পরিণতির কারণ হতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়।

হাদিসের বর্ণনাঃ

হজরত মুআধ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

"মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার ক্ষেত্রে জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের গুনাহই সবচেয়ে বড় কারণ।" (তিরমিজি: ২৬১৬)

এখানে বোঝা যায়, জিহ্বা ও যৌনাঙ্গ এমন দুই অঙ্গ, যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মানুষ জাহান্নামের পথে পরিচালিত হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পাপ থেকে ফিরে আসার পথ ! তওবা করার গুরুত্ব ও ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

১। জিহ্বার গুনাহ এবং এর প্রভাবঃ

জিহ্বা আল্লাহ তায়ালার এক মহান নিয়ামত, যা মানুষের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু এই অঙ্গের সামান্য ভুল ব্যবহারে মানুষ বড় গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। জিহ্বার মাধ্যমে মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা, অপবাদ, শাপ-শাপান্ত, অশ্লীল কথা বা কারও সম্মানহানি করা - এসবই জিহ্বার গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও গোপন অঙ্গকে সংযত রাখবে, আমি তার জান্নাতের জামিন।” অর্থাৎ জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করা ঈমানদারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

জিহ্বার গুনাহ শুধু দুনিয়ার সম্পর্কই নষ্ট করে না, বরং পরকালে মানুষের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। একটিমাত্র কটূ কথা কারও হৃদয়ে আঘাত দিতে পারে, আর সেই ক্ষত আল্লাহর নিকটে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তাই মুমিন ব্যক্তির উচিত জিহ্বাকে সংযত রাখা, সত্য কথা বলা, অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর কথা থেকে বিরত থাকা। জিহ্বার সঠিক ব্যবহার মানুষের মর্যাদা বাড়ায়, আর অপব্যবহার তাকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়।

জিহ্বার গুনাহের কয়েকটি রূপঃ

জিহ্বা আল্লাহ্‌র এক বিশেষ দান, যার মাধ্যমে মানুষ কথা বলে, জ্ঞান প্রচার করে এবং সৎ কাজের আহ্বান জানাতে পারে। কিন্তু এই জিহ্বাই অনেক সময় মানুষের জন্য জাহান্নামের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জিহ্বার গুনাহের বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যা আমাদের অজান্তেই বা অসচেতনতায় ঘটে যায়। যেমন - মিথ্যা বলা- যা ইসলামে বড় গুনাহ; এটি সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং মানুষের প্রতি অবিচার করে। গীবত বা পরনিন্দা - করা হচ্ছে আরেকটি গুরুতর পাপ, যা কুরআনে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এছাড়া অশালীন ও কটূ বাক্য ব্যবহার, অন্যকে অপমান করা, শাপ-শাপান্ত করা, ঝগড়া-বিবাদে কঠোর ভাষা ব্যবহার করা ইত্যাদিও জিহ্বার গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। অনেক সময় মানুষ অপ্রয়োজনীয় কথা বলে সময় নষ্ট করে ফেলে, যা হিসাবের দিনে জবাবদিহির কারণ হবে। তাই জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, সত্য ও কল্যাণকর কথা বলা, এবং নীরবতাকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা একজন মুমিনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

নিয়ন্ত্রণের উপায়ঃ

মানুষের শরীরে দুটি অঙ্গ – জিহ্বা ও গোপন অঙ্গ – এমন দুটি অঙ্গ যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারালে মানুষ সহজেই গুনাহে লিপ্ত হয় এবং জাহান্নামের পথে চলে যায়। তাই ইসলামে এই দুই অঙ্গের নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ মানে শুধু অশালীন কথা বলা থেকে বিরত থাকা নয়, বরং মিথ্যা, পরনিন্দা, গীবত, চুগলখোরি, অশালীন কৌতুক বা অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আর গোপন অঙ্গের নিয়ন্ত্রণ মানে হলো ব্যভিচার, পরকীয়া বা অবৈধ সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা এবং দৃষ্টি, চিন্তা ও আচরণকে সংযত রাখা। এই নিয়ন্ত্রণ অর্জনের জন্য নিয়মিত নামাজ আদায়, কুরআন তেলাওয়াত, রোজা রাখা, ভালো সঙ্গ নির্বাচন ও একাকীত্বে আল্লাহকে স্মরণ করা খুবই কার্যকর। রাসূল (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও গোপন অঙ্গের হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।” তাই প্রকৃত মুমিন সেই, যে নিজের জিহ্বা ও গোপন অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এবং সর্বদা আল্লাহভীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে জীবন পরিচালনা করে। প্রতিদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যাতে আমরা আমাদের কথাকে সংযত রাখতে পারি। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর এই উপদেশ স্মরণ রাখাঃ

"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।" (বুখারি: ৬০১৮)

২। যৌনাঙ্গের গুনাহ এবং এর প্রভাবঃ

ইসলাম ধর্মে যৌনাঙ্গের গুনাহকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সম্মানিত সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর দেওয়া প্রতিটি অঙ্গের ব্যবহার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে করতে বলেছেন। যৌনাঙ্গ এমন একটি অঙ্গ, যার মাধ্যমে মানুষ পবিত্র সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে আবার সীমা লঙ্ঘন করলে ভয়াবহ গুনাহে পতিত হতে পারে। অবৈধ যৌনসম্পর্ক, ব্যভিচার, পর্নোগ্রাফি দেখা, বা কু-চিন্তা – সবই যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের হেফাজত করবে, আমি তার জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।” অর্থাৎ এই অঙ্গদ্বয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই মানুষ বহু পাপ থেকে বেঁচে যেতে পারে।

এই গুনাহের প্রভাব শুধু আখিরাতে নয়, দুনিয়াতেও মারাত্মক। অবৈধ যৌন সম্পর্ক সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, পারিবারিক ভাঙন, যৌনরোগ, মানসিক অস্থিরতা ও আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ হয়। এছাড়া, যারা এ পাপে লিপ্ত থাকে, তাদের হৃদয় ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে যায় এবং তারা আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরে যায়। তাই ইসলাম মানুষকে বৈধ বিবাহের মাধ্যমে যৌন চাহিদা পূরণের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে সমাজে পবিত্রতা ও শান্তি বজায় থাকে।

সংক্ষেপে বলা যায়, যৌনাঙ্গের গুনাহ শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এ অঙ্গের সংযম ও হেফাজতই মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়, আর এর অপব্যবহার মানুষকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়।

আরো পড়ুনঃ গিবত করাও পাপ, শোনাও পাপ – ইসলামী দৃষ্টিকোণে  বিস্তারিত বিশ্লেষণ জেনে নিন।

যৌনাঙ্গের গুনাহের কয়েকটি রূপঃ

ইসলাম ধর্মে যৌনাঙ্গের গুনাহকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই অঙ্গের অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ সহজেই বড় গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, যা জাহান্নামের কারণ হতে পারে। যৌনাঙ্গের গুনাহের কয়েকটি প্রধান রূপ হলো - ব্যভিচার (জিনা), পরকীয়া সম্পর্ক, সমকামিতা, স্বমেহন, অবৈধ দৃষ্টিচর্চা বা পর্নোগ্রাফি দেখা এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা আচরণ করা। কুরআন ও হাদীসে এসব কাজকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এগুলো থেকে দূরে থাকার কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও যৌনাঙ্গকে সংযত রাখবে, আমি তার জান্নাতের জামিন হব।” অর্থাৎ, যৌন আচরণে সংযম ও পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু দুনিয়ার শান্তি নয়, পরকালের মুক্তিরও উপায়। তাই মুসলমানদের উচিত এই অঙ্গকে সর্বদা হিফাজত করা, হারাম সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নফল ইবাদত ও তাকওয়া অবলম্বন করা।

নিয়ন্ত্রণের উপাযঃ

ইসলাম ধর্মে যৌনাঙ্গের গুনাহকে অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের চরিত্র, সমাজ ও আত্মাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। কুরআন ও হাদীসে বারবার সতর্ক করা হয়েছে যেন মানুষ নিজের যৌন প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অবৈধ সম্পর্ক থেকে দূরে থাকে। যৌনাঙ্গের গুনাহ থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ”তাকওয়া বা আল্লাহভীতি” অর্জন করা - অর্থাৎ, সর্বক্ষণ মনে রাখা যে আল্লাহ সব দেখছেন। নিয়মিত নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত এবং একাকীত্বে নিজেকে সংযমে রাখা আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এছাড়া ”নজর ও চিন্তাকে সংযত রাখা” জরুরি; কারণ দৃষ্টি ও কল্পনা থেকেই পাপের সূচনা হয়। অশ্লীল দৃশ্য, পর্নোগ্রাফি, বা অবৈধ সম্পর্কের দিকে নিয়ে যায় এমন সব কিছু থেকে দূরে থাকতে হবে। অবিবাহিতদের জন্য ”বিবাহকে উৎসাহিত” করা হয়েছে যাতে তারা হালাল পথে নিজেদের প্রবৃত্তি পূরণ করতে পারে। তাছাড়া রোজা রাখা, উপকারী কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, একা না থাকা এবং আল্লাহর জিকিরে সময় কাটানোও নিয়ন্ত্রণে বড় সহায়ক।

সর্বোপরি, ”তাওবা ও ইস্তেগফার” অর্থাৎ গুনাহের পর আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া এবং পুনরায় সেই পথে না ফেরার দৃঢ় সংকল্প করাই যৌনাঙ্গের গুনাহ থেকে পরিত্রাণের মূল চাবিকাঠি।

জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের পাপ এড়াতে সমাধানঃ

জিহ্বা ও যৌনাঙ্গ মানুষের শরীরের দুটি অঙ্গ, যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে মানুষ সহজেই বড় গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন - “যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।” অর্থাৎ, এই দুই অঙ্গের পাপ এড়ানো মানেই জান্নাতের পথ সহজ করা।

জিহ্বার পাপ থেকে বাঁচতে প্রথমেই নিজের কথা বলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা, অশালীন কথা, কারও অপমান বা ঝগড়া-বিবাদে অংশ না নেওয়াই মূল উপায়। কথা বলার আগে ভেবে নেওয়া উচিত - এই কথাটি আল্লাহর সন্তুষ্টি আনে, না কি অসন্তুষ্টি। অযথা কথা বলা ও রাগের সময় চুপ থাকা জিহ্বাকে নিরাপদ রাখার উত্তম অভ্যাস।

অন্যদিকে যৌনাঙ্গের পাপ থেকে বাঁচতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন করা। একাকীত্বে বা গোপনে আল্লাহ দেখছেন - এই অনুভূতি হৃদয়ে জাগিয়ে রাখতে হবে। নামাজে মনোযোগী হওয়া, রোজা রাখা, অশ্লীল ছবি বা কনটেন্ট থেকে দূরে থাকা, বিবাহের সুন্নাহ পালন করা - এসব জিনিস মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখে।

সবশেষে মনে রাখতে হবে, জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের নিয়ন্ত্রণ মানে শুধু নিজেকে নয়, সমাজকেও নিরাপদ রাখা। তাই এই দুই অঙ্গের হেফাজত করা ঈমানদার জীবনের অপরিহার্য অংশ এবং জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি।

আরো পড়ুনঃ যে সকল আমল দ্বারা গোনাহ মাফ হয়–জেনে নিন সহজে পবিত্রতা অর্জনের উপায়।

উপসংহারঃ

উপসংহারে বলা যায়, জিহ্বা ও যৌনাঙ্গ মানুষের চরিত্রের প্রকৃত পরীক্ষার দুটি প্রধান অঙ্গ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মানুষ নিজের ঈমান, আমল ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারে। কিন্তু যদি এই দুই অঙ্গ বেহায়া আচরণ, গীবত, মিথ্যা বা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তবে তা মানুষের সকল নেক আমল নষ্ট করে দিতে পারে এবং জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। তাই আল্লাহভীতি, নিয়মিত নামাজ, রোজা, কুরআন তেলাওয়াত এবং সৎ সঙ্গ গ্রহণের মাধ্যমে জিহ্বা ও যৌনাঙ্গের পাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই দুই অঙ্গের হেফাজতই আমাদের জান্নাতের পথে সবচেয়ে শক্তিশালী ঢাল।

[আপনি চাইলে এই আর্টিকেলটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করতে পারেন] 
কীভাবে এই আর্টিকেলটি আরও উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে আপনার কোনো পরামর্শ থাকলে দয়া করে জানাবেন। 
আপনি যদি আরও এই ধরনের গাইড, টিপস বা টিউটোরিয়াল পড়তে চান, তাহলে নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের সাইটে  https://www.baneswarit.com/ এবং আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুনঃ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url