জিমে না গিয়েও ভুঁড়ি কমানোর ১০টি কার্যকর উপায় – ঘরে বসে সহজ ফ্যাট বার্নিং টিপস
জিমে না গিয়েও ভুঁড়ি কমানোর ১০টি কার্যকর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
আপনারা যারা জিমে না গিয়েও ভুঁড়ি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন জিমে না গিয়েও কিভাবে ঘরে বসেই ভুঁড়ি কমাতে পারবেন এবং আরও জেনে নিন ১০টি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় যা আপনার পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।
চলুন এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই, জিমে না গিয়েও ভুঁড়ি কমানোর ১০টি কার্যকর উপায় সম্পর্কে।
ভূমিকাঃ জিমে না গিয়েও ভুঁড়ি কমাবেন যেসব উপায়ে।
আজকাল অনেকেই ওয়ার্কআউট করার সময় পান না বা জিমে যাওয়ার সুযোগ হয় না। তবে ঘরেই কিছু সহজ উপায় মেনে চললে ভুঁড়ি কমানো সম্ভব। নিচে আমরা এমন ১০টি কার্যকর পদ্ধতি আলোচনা করেছি যা নিয়মিত মেনে চললে পেটের মেদ দ্রুত কমবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন একটি কলা খাওয়ার ৬টি দারুণ উপকারিতা – জানলে অবাক হবেন!
১। সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুনঃ
ভুঁড়ি কমাতে হলে প্রথমেই নজর দিতে হবে খাবারের দিকে। অতিরিক্ত চিনি, তৈলাক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে খাবেন –
- শাকসবজি
- ফলমূল
- হোল গ্রেইন (লাল চাল, ওটস)
- প্রোটিন (ডিম, মাছ, ডাল)
২। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুনঃ
হাঁটা হলো সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর ব্যায়াম। সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়মিত হাঁটলে ক্যালোরি পোড়ে এবং পেটের মেদ কমে।
৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ
পানির অভাবে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমে ও হজমের সমস্যা হয়, যা মেদ বাড়াতে সহায়তা করে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
৪। ভেজা মেথি খাওয়া শুরু করুনঃ
রাতে মেথি ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
৫। ঘুমের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করুনঃ
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যা মেদ জমার অন্যতম কারণ। ঘুম ঠিক রাখলে হরমোন ব্যালান্স থাকে।
৬। নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা প্রাণায়ামঃ
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট প্রাণায়াম করলে তা মানসিক চাপ কমায় ও পেটের পেশিকে শক্ত করে। এতে পেট স্লিম হতে শুরু করে।
৭। চিনি ও কৃত্রিম পানীয় পরিহার করুনঃ
চিনি ও সফট ড্রিংকে থাকা ফ্রুকটোজ লিভারে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এর পরিবর্তে ডিটক্স ওয়াটার বা গ্রিন টি খাওয়া উত্তম।
৮। মাঝে মাঝে উপবাস করুন (Intermittent Fasting)
১৬ ঘণ্টা উপবাস ও ৮ ঘণ্টা খাওয়ার অভ্যাস হলে শরীর চর্বি পোড়াতে শুরু করে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করুন।
৯। ভিনেগার বা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহারঃ
প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে তা হজম শক্তি বাড়ায় এবং মেদ ঝরায়।
১০। স্ট্রেস কমানঃ
চিন্তা বা স্ট্রেস থাকলে কর্টিসল হরমোন বাড়ে, যা পেটের মেদ বাড়ানোর জন্য দায়ী। মেডিটেশন বা বই পড়ার মতো স্ট্রেস রিলিফ অ্যাক্টিভিটিতে মন দিন।
আরো পড়ুনঃ মাত্র ৫ মিনিটে আপনার ফিটনেস ধরে রাখুন। ঘরে বসেই করুন ৫টি মজার ব্যায়াম।
উপসংহারঃ
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন, জিম ছাড়াও ভুঁড়ি কমানো সম্ভব, যদি আপনি উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, হাঁটা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা মেনে চলেন। সামান্য পরিবর্তনে আপনি পেতে পারেন সুস্থ ও মেদহীন জীবন।
যাই হোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আপনি যদি আরও এই ধরনের গাইড, টিপস বা টিউটোরিয়াল পড়ুতে চান, তাহলে আমাদের সাইটে চোখ রাখুন নিয়মিত- https://www.baneswarit.com/ এবং আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুনঃ
https://www.facebook.com/profile.php?id=61577238192159 ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url