স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ করছে এই ১০ অ্যাপ বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা যারা "স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হওয়ার অ্যাপ" সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো কিছু ব্যাটারি-খেকো অ্যাপ, যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে কিভাবে শক্তি খরচ করে সেই সম্পর্কে।

চলুন এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই, স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হওয়ার বিভিন্ন অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকাঃ স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ করছে এই ১০ অ্যাপ বিস্তারিত জেনে নিন।

স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো কিছু ব্যাটারি-খেকো অ্যাপ, যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে শক্তি খরচ করে। আপনি যদি দিনের মাঝামাঝি সময়ে ফোন চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়েন, তবে এর পেছনে দায়ী হতে পারে কিছু বিশেষ অ্যাপ। আসুন জেনে নিই, স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ করা ১০টি জনপ্রিয় অ্যাপ সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ নোকিয়া ফোন, কেবল অ্যান্ড্রয়েডই নয়, আইফোনকেও হার মানাতে পারে!

১। Facebook

ফেসবুক অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্রমাগত ডাটা রিফ্রেশ করে এবং নোটিফিকেশন পাঠায়, যা ব্যাটারির ওপর বড় প্রভাব ফেলে। এর বিকল্প হিসেবে Facebook Lite বা ওয়েব ব্রাউজারে ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। Instagram

ইনস্টাগ্রাম ছবি ও ভিডিও-ভিত্তিক হওয়ায় এটি অনেক বেশি ব্যাটারি ব্যবহার করে, বিশেষ করে ভিডিও অটোপ্লে এবং লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময়। ব্যাটারি সাশ্রয়ের জন্য আপনি "Data Saver" মোড চালু করতে পারেন।

৩। Snapchat

স্ন্যাপচ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্যামেরা ও লোকেশন সার্ভিস চালু রাখে, ফলে এটি ব্যাটারির উপর বড় চাপ ফেলে। এটি ব্যবহার কমিয়ে বা সেটিংসে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অনুমতি বন্ধ করে ব্যাটারি বাঁচানো সম্ভব।

৪। TikTok

এই অ্যাপে একটানা ভিডিও দেখলে প্রচুর ব্যাটারি খরচ হয়। তাছাড়া, এটি ব্যাকগ্রাউন্ডেও কাজ করতে থাকে। ডার্ক মোড চালু করা ও ব্যবহারের সময় কমানোর মাধ্যমে ব্যাটারি সাশ্রয় করা যায়।

৫। YouTube

ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপগুলোর মধ্যে ইউটিউব অন্যতম ব্যাটারি-খরচকারী অ্যাপ। স্ট্রিমিংয়ের সময় ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। তাই ভিডিওর গুণগত মান কমিয়ে (যেমন ৪৮০p-তে সেট করা) এবং ব্যাকগ্রাউন্ড প্লে বন্ধ করে ব্যাটারি বাঁচানো সম্ভব।

৬। WhatsApp

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা সিঙ্ক করে, কল ও মেসেজের নোটিফিকেশন পাঠায়, ফলে এটি ব্যাটারি দ্রুত শেষ করতে পারে। "Low Data Usage" অপশন চালু করলে এবং অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করলে ব্যাটারির ব্যবহার কমানো সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ নোকিয়া ফোন, কেবল অ্যান্ড্রয়েডই নয়, আইফোনকেও হার মানাতে পারে!

৭। Google Maps

গুগল ম্যাপস রিয়েল-টাইম লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের জন্য অনেক ব্যাটারি খরচ করে। বিকল্প হিসেবে শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় লোকেশন চালু করা এবং "Offline Maps" ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮। Messenger

ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ভিডিও কল ও চ্যাটের কারণে অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ করে। Messenger Lite সংস্করণ ব্যবহার করলে ব্যাটারি ও ডাটা খরচ কমানো সম্ভব।

৯। Netflix

নেটফ্লিক্স ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ হওয়ায় এটি ব্যাটারির উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। স্ট্রিমিংয়ের সময় ব্যাটারির ব্যবহার কমাতে ডাউনলোড করা ভিডিও দেখে নিতে পারেন এবং স্ক্রীনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখতে পারেন।

১০। Twitter (X)

টুইটার অটো-রিফ্রেশের কারণে ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে এবং ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ করে ফেলে। এর জন্য "Data Saver" চালু করা ও ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি সীমিত করা যেতে পারে।

ব্যাটারি সাশ্রয়ের কিছু কার্যকর টিপস

✔ ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ বন্ধ করুন

✔ অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন

✔ ডার্ক মোড ব্যবহার করুন

✔ অ্যাপগুলোর ব্যাটারি ব্যবহারের রিপোর্ট চেক করুন

✔ অপ্রয়োজনীয় লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন

✔ Power Saving Mode চালু করুন

আরো পড়ুনঃ আপনার বাজেট 15,000 টাকা হলে আপনি এই স্মার্টফোন কিনতে পারেন।

উপসংহারঃ 

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন উপরের অ্যাপগুলোর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করলে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে। আপনি কোন অ্যাপের কারণে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি ড্রেন অনুভব করেন? মন্তব্য করে জানাতে পারেন!

যাইহোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ