স্টারলিংক সংযোগ পেতে অর্ডার করবেন যেভাবে – ঘরে বসেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এখন আপনার হাতের মুঠোয়।
স্টারলিংক সংযোগ পেতে অর্ডার করবেন যেভাবে – ঘরে বসেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এখন আপনার হাতের মুঠোয়।
আপনারা যারা "কীভাবে স্টারলিংক সংযোগের জন্য অর্ডার করতে হয়!" এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন, বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ নিতে চাইলে কীভাবে অর্ডার করবেন, কী লাগে, কত খরচ, আর কোথায় পাবেন-সব বিস্তারিত জানুন এই আর্টিকেলে।
স্টারলিংক সংযোগ পেতে অর্ডার করবেন যেভাবে – বিস্তারিত গাইডলাইন।
ভূমিকাঃ স্টারলিংক সংযোগ পেতে অর্ডার করবেন যেভাবে
একটা সময় ছিল যখন আমরা ইন্টারনেট বলতে বুঝতাম ওয়াইফাই, ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল ডেটা। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন ইন্টারনেট আসছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে-নতুন যুগের নাম স্টারলিংক (Starlink)।
এই আর্টিকেলে আমরা একদম সাধারণ মানুষের ভাষায় বুঝিয়ে দেবো স্টারলিংক সংযোগ কীভাবে নিতে হয়।
স্টারলিংক কী?
স্টারলিংক হলো এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান SpaceX পরিচালিত এক বিশেষ ধরনের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা। পৃথিবীর চারপাশে হাজার হাজার ছোট ছোট স্যাটেলাইট ঘুরছে, সেখান থেকে সরাসরি আপনার বাড়ির ছাদে থাকা একখানা ছোট ডিস অ্যান্টেনায় সংযোগ আসে।
এর মানে, আপনার এলাকায় অপটিক ফাইবার বা মোবাইল টাওয়ার না থাকলেও আপনি ইন্টারনেট পাবেন।
বাংলাদেশে কি স্টারলিংক পাওয়া যায়?
তবে অনেকেই ভারতীয় বা আন্তর্জাতিক ঠিকানা ব্যবহার করে প্রি-অর্ডার করে নিচ্ছেন। এর জন্য কিছু কৌশল জানতে হবে। নিচে বিস্তারিত জানানো হলো।
স্টারলিংক সংযোগ নিতে যা যা লাগবেঃ
অর্ডার করার ধাপসমূহ (Step-by-Step)
১। স্টারলিংক ওয়েবসাইটে যান
www.starlink.com প্রবেশ করুন।
২। লোকেশন দিন
সেখানে আপনার ঠিকানা চাইবে। বাংলাদেশ দিলে বলবে “Not Available”।
কৌশলগত ভাবে, ভারত, দুবাই, নেপাল, ইউরোপের কোনো দেশের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় সরাসরি অর্ডার দেওয়া যায়। আবার কিছু জায়গায় প্রি-অর্ডার দিতে হয়।
ফর্মে যা যা দিতে হয়ঃ নামঃঠিকানাঃ
ফোন নম্বরঃ
ইমেইলঃ
পেমেন্ট মেথড (কার্ড)
৩। Check Availability চাপুন
যদি আপনার দেওয়া ঠিকানায় সেবা থাকে, তাহলে অর্ডার বাটন চলে আসবে।
৪। অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন ও পেমেন্ট দিন
স্টারলিংক কিট অর্ডারের জন্য প্রায় ৫০০-৬০০ ডলার লাগে।
পেমেন্ট করার সময় VISA/MasterCard/International Debit/Credit Card দরকার।
টাকা পাঠানোর সময় আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে হয়।
যদি আপনার আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড না থাকে তাহলে আপনি ‘Ordinary IT’ রাজশাহী-এর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারেন।
৫। ডেলিভারির জন্য ঠিকানা দিন
আপনার পরিচিত কেউ বিদেশে থাকলে তার ঠিকানা দিন, কিংবা কোনো ফরোয়ার্ডিং সার্ভিস ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশে কিভাবে আনবেন?
স্টারলিংক কিট আসবে একখানা মাঝারি সাইজের বক্সে। সেটি আপনার বন্ধু, আত্মীয় বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনতে হবে।
অনেকে SkyNet, DHL, বা FedEx ফরোয়ার্ডার দিয়ে আনেন। কাস্টমস-এ কিছু চার্জ দিতে হতে পারে। স্টারলিংক কিট বক্সে যা যা থাকবে।
একটি সাদা রঙের Dish (ডিশি)
-
WiFi Router
-
৭৫ ফুট ক্যাবল
-
Power Adapter
সংযোগ স্থাপন (Installation)
নোটঃ প্রথমবার সংযোগ পেতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগতে পারে।
খরচ কেমন ?
খরচের বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|
প্রাথমিক কিট | $500-$600 USD |
শিপিং চার্জ | $50-$100 USD |
কাস্টমস খরচ | ভ্যারিয়েবল (৳৫,০০০–২০,০০০) |
মাসিক চার্জ | $99 USD (অনুমানিক) |
কারা এটি ব্যবহার করতে পারেন?
- গ্রামের এলাকায় যাদের ব্রডব্যান্ড নেই
- উদ্যোক্তা বা ইউটিউবার যারা ভালো স্পিড চান
- জরুরি সেবা/দূরবর্তী অফিস
- পাহাড়, দ্বীপ বা দুর্গম অঞ্চলে যারা থাকেন
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ
- আপনার লোকেশনটা ভালোভাবে চিন্তা করে অর্ডার দিন
- কার্ডে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স রাখুন
- শিপমেন্ট ট্র্যাকিং নিয়মিত মনিটর করুন
- ডিস স্থাপন যেন আকাশের বাধা ছাড়া হয়
শেষ কথা | স্টারলিংক মানেই ইন্টারনেটের নতুন যুগ।
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন, যারা দূর-দূরান্তে থেকেও ভালো ইন্টারনেট চান, তাদের জন্য এটা একটা আশীর্বাদ।
হ্যাঁ, শুরুতে খরচ একটু বেশি কিন্তু আপনি যা পাচ্ছেন, তা এক কথায় অসাধারণ। বাংলাদেশে এটি এখনও আনঅফিশিয়াল হলেও চেষ্টায় সফল হওয়া সম্ভব।
আশা করি, এই গাইড লাইনটি আপনার কাজে আসবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আপনার প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্টে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url