পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম ! ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটকে হার মানাবে!

পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম ! ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটকে হার মানাবে! বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা যারা পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম যা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটকে হার মানাবে!

চলুন এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই, কি সেই পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম যা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটকে হার মানাবে সেই সম্পর্কে।

পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম !

ভূমিকাঃ পোস্ট অফিসের অজানা স্কিম ! ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটকে হার মানাবে।

পোস্ট অফিস শুধু চিঠিপত্র পাঠানোর জায়গা নয়, এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যমও। অনেকে ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট (FD) স্কিমে টাকা জমা রাখেন, কিন্তু পোস্ট অফিসের কিছু স্কিম এমন সুবিধা প্রদান করে যা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়েও বেশি লাভজনক এবং নিরাপদ। আজ আমরা পোস্ট অফিসের এমন কিছু অজানা স্কিম নিয়ে আলোচনা করব, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সহজ এবং সর্বোত্তম উপায়।(১)

১। পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট (TD) স্কিমঃ

পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিম ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের মতোই। তবে এই স্কিমে সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং এটি সরকার কর্তৃক গ্যারান্টিযুক্ত।

বৈশিষ্ট্যঃ

জমার মেয়াদ: ১, ২, ৩, এবং ৫ বছর।

৫ বছরের TD স্কিমে আয়কর ছাড় (ধারা ৮০সি-এর অধীনে)।

বর্তমান সুদের হার ব্যাংকের FD-এর চেয়ে প্রতিযোগিতামূলক।

২। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS)

অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্কিম। এটি পোস্ট অফিসের অন্যতম জনপ্রিয় স্কিম।

বৈশিষ্ট্যঃ

বার্ষিক সুদের হার ৮% এর উপরে হতে পারে (পরিবর্তনশীল)।

সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমাঃ ৩০ লাখ।

সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।

পূর্ণ আয়কর ছাড়ের সুযোগ।

৩। মাসিক আয় স্কিম (MIS)

যারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট আয় চান তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প।

বৈশিষ্ট্যঃ

সুদের হার ব্যাংকের মাসিক আয় স্কিমের চেয়ে বেশি।

বিনিয়োগ সীমাঃ ৯ লাখ (যৌথ অ্যাকাউন্টের জন্য)।

প্রতি মাসে স্থির আয় পাওয়া যায়।

মূলধন সম্পূর্ণ নিরাপদ।

৪। পিপিএফ (PPF) - পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড

দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য পোস্ট অফিসের PPF অত্যন্ত জনপ্রিয়।

বৈশিষ্ট্যঃ

১৫ বছরের মেয়াদ।

বার্ষিক সুদের হার: প্রায় ৭.৫-৮% (পরিবর্তনশীল)।

সুদ এবং ম্যাচিউরিটি অ্যামাউন্ট করমুক্ত।

আংশিক টাকা তোলার সুযোগ।

৫। কিষান বিকাশ পত্র (KVP)

যারা নির্দিষ্ট সময়ে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।

বৈশিষ্ট্যঃ

বিনিয়োগ দ্বিগুণ হতে সময়: প্রায় ১০ বছর (সুদের হার অনুসারে)।

সর্বনিম্ন বিনিয়োগঃ ১,০০০।

নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে টাকা তোলার সুবিধা।

কেন পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাংকের FD-এর থেকে ভালো?

১। উচ্চতর সুদের হারঃ

পোস্ট অফিসের বেশ কিছু স্কিম ব্যাংকের তুলনায় বেশি সুদ প্রদান করে।

২। নিরাপত্তাঃ

পোস্ট অফিস স্কিম সরকার দ্বারা ১০০% গ্যারান্টিযুক্ত, যেখানে ব্যাংকের FD শুধুমাত্র ₹৫ লাখ পর্যন্ত ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স কভার পায়।

৩। কর ছাড়ের সুবিধাঃ

বেশ কয়েকটি স্কিম আয়কর ছাড় প্রদান করে।

৪। অন্যন্য সুবিধাঃ 

অগ্রিম টাকা তোলার সুবিধা, নিয়মিত আয় এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সহজ এবং সর্বোত্তম উপায়।(২)

উপসংহারঃ 

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন, যারা ঝুঁকি ছাড়াই ভালো রিটার্ন চান, তাদের জন্য পোস্ট অফিসের স্কিমগুলো আদর্শ। শুধু সচেতনতা আর সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই এই সুযোগগুলো মিস করেন। তাই এখনই আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিসে যান এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি স্কিম বেছে নিন। ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে পোস্ট অফিসের এই স্কিমগুলো হতে পারে আপনার সঞ্চয়ের জন্য আরও ভালো বিকল্প।

যাই হোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

Post a Comment

0 Comments