রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল।(১)

রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল।(১)

রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল। আমরা অনেকেই অনেক রকমের আমল করে থাকি । এর মধ্যে রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল, এসব আমলও হইতো বা করে থাকি । কিন্তু আমরা জানিনা কোন কোন আমলের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি হয় এবং আয়-উপার্যনে বরকত আসে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল সম্বন্ধে। আমলগুলো সম্বন্ধে নিচে আলোচনা করা হলো।

সূচীপত্রঃ রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল।

  • শেষ কথাঃ 

অনুশোচনা বা তওবা করাঃ

অনুতাপের দ্বারা দাসের রাগ বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'আমি তাদেরকে বলেছিলাম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও।   তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।   তিনি তোমাদের উপর আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধি করবেন এবং তোমাদের দেবেন উদ্যান ও নদী।  (সুরা নুহ, আয়াত: ১০-১২; সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত: ৮২)

ইবনে আব্বাস রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত। "যে ব্যক্তি অনবরত তওবা করে, আল্লাহ তা 'আলা সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করবেন, সমস্ত উদ্বেগ দূর করবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে খাদ্য সরবরাহ করবেন।   (আবু দাউদ, হাদিস: ১,৫১৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস: (৩,৮১৯0); মুস্তাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৯১, হাদিস: (৭,৬৭৭)

সতর্ক থাকুন এবং আল্লার ওপর নির্ভর করুনঃ

যে ক্রিয়াকলাপ বা সময়কালে ঋষিকে উন্নীত করা হয় তার মধ্যে রয়েছে তাকওয়া, বিরত থাকা এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর আস্থা রাখা।   কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'যে ব্যক্তি আল্লাহ্র অনুগ্রহ কামনা করবে, তিনি তার জন্য একটি উপায় বের করে আনবেন এবং তাকে এমন এক উৎস থেকে রিযিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।   (সূরা আল-সাদঃ ৩৫)

আরো পড়ুনঃ রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমল।(২)

রাসুলুল্লাহ (সা:)   তিনি বলেন, 'যদি তোমরা আল্লাহ তা' আলার প্রতি ঈমান এনে থাক। তিনি যেমন পাখিদের রিযিক দেবেন, তেমনই তোমাদেরও রিযিক দেবেন। পাখিরা সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসা ছেড়ে যায় এবং সন্ধ্যায় পরিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরে আসে। (তিরমিজি, হাদিস: ২,৩৪৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১৬৪)

হজ ও উমরাহ পালন করাঃ

বারবার হজ ও উমরাহ পালন করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।  আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তেমরা হজ্জ ও উমরা পালন কর।  কারণ এটা অভাব ও পাপ দূর করে, ঠিক যেমন একজন কামার লোহা, সোনা ও রূপা থেকে ময়লা দূর করে। ' (তিরমিজি, হাদিস: ৮১০; নাসায়ি, হাদিস: ২,৬৩১)

হিজরত ও জিহাদ করাঃ

রিজিক আল্লাহ তা 'আলার পথে হিজরত ও জিহাদে অংশ নিয়ে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়।  পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'যে ব্যক্তি আল্লাহ্র পথে হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে অনেক আশ্রয় ও প্রাচুর্য পাবে।  (সুরা নিসা, আয়াত: ১০০)

ইবনে উমর (রা.)–র বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিনি বলেন, আমার রিজিকটি আমার বর্শার ছায়ায় রাখা হয়েছে।   (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৫,৬৬৭; বায়হাকি, হাদিস: ১,১৫৪)

নামায ও ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করাঃ

সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা ঝুঁকি বাড়ায়। কাজ এবং ব্যবসার মাঝখানে নামায আদায় করা উচিত, নামাযের মাঝখানে নয়। একই সময়ে, আপনাকে আল্লাহর উপাসনা করতে হবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,' আর তোমরা তোমাদের পরিবারবর্গকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং তাতে অটল থাকো। আমি তোমার কাছ থেকে কিছুই চাই না।  আমি তোমায় দিয়ে দিচ্ছি । আর মুমিনদের জন্য মঙ্গল। (সুরা ত্বহা, আয়াত: ১৩২)

আরো পড়ুনঃ সফল হতে হলে যে অভ্যাসগুলো থাকা দরকার।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ–তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান!   আমার উপাসনার জন্য তোমার হৃদয় খালি কর।   আমি তোমার হৃদয় পূর্ণ করব এবং তোমার দারিদ্র্য দূর করব।   আর যদি তুমি তা না কর, তাহলে আমি তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার ভরণপোষণ করব না। ' (তিরমিজি, হাদিস–২,৪৬৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১০৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮,৬৯৬)

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখাঃ

সম্পর্ক গড়ে তোলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তোলা।  আল্লাহ তা 'আলা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি এবং তাদের  প্রাপ্য প্রদান করি। (সূরা নিসা, আয়াত ৩৬; সূরা বনি ইসরায়েল, আয়াত ২৬)

আনাস ইবন মালিক (রাঃ)   তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা:)-কে বলতে শুনেছি, 'যে ব্যক্তি তার জীবিকার মেয়াদ বাড়াতে চায় এবং তার আয়ু বাড়াতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। (বুখারি, হাদিস: ৫,৯৮৫; মুসলিম, হাদিস: ৪,৬৩৯)

শেষ কথাঃ 

প্রিয় পাঠকগণ, যারা এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন রিজিক বৃদ্ধির আমল এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসার আমলগুলো। তাই আসুন আমরা সবাই আমলগুলো মেনে চলি বা মেনে চলার চেষ্টা করি ।  আর আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুরবেন না ।


Post a Comment

0 Comments