কম্পিউটার আবিষ্কারের পুর্নাঙ্গ ইতিহাস।

কম্পিউটার আবিষ্কারের পুর্নাঙ্গ ইতিহাস

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা অনেকেই কম্পিউটার আবিষ্কারের পুর্নাঙ্গ ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়ে জেনে নিন কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস। আজকে আমরা মে কম্পিউটার দেখি তা এক দিনে আবিষ্কার হয়নি। কম্পিউটার আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস। বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য বিজ্ঞানীদের সফল গবেষণার ফল হলো আজকের এই কম্পিউটার। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির একক প্রচেষ্টায় কম্পিউটার তৈরি সম্ভব হয়নি। 

 সূচি পত্রঃ কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস । 

  • ভূমিকাঃ কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস । 
  • অ্যাবাকাসঃ
  • নেপিয়ার রডঃ
  • প্যাসকেলাইনঃ
  • ডিফারেন্স ও অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনঃ
  • শেষ কথাঃ

ভূমিকাঃকম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস । 

গণনা করা প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষের কাছে খুবই জটিল ছিল। ধারণা করা হয়, গণনা করার সমস্যা সমাধানের জন্যই আজকের কম্পিউটার তৈরি সম্ভব হয়েছে। প্রথম দিকে মানুষ নুড়ি, কড়ি, পাথর, ঝিনুক, দড়ির গিট ইত্যাদির মাধ্যমে গণনার কাজ করত। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার আবিষ্কারের সম্পূর্ণ  ইতিহাস।

অ্যাবাকাসঃ

প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চীন দেশে, "অ্যাবাকাস" নামে এক হস্ত চালিত কাঠের যন্ত্র আবিস্কৃত হয়। এর সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগ করা যেত। মনে করা হয় এই যন্ত্র থেকেই কম্পিউটার তৈরির সূচনা হয়। একটা কাঠের ফ্রেমের ভেতরে লম্বালম্বি রশি বেঁধে তাতে বিভিন্ন রঙের গুটি গেঁথে অ্যাবাকাস তৈরি করা হতো। 

নেপিয়ার রডঃ

অ্যাবাকাসের পর স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে জীবের হাড় ব্যবহার করে গুন করার জন্য "নেপিয়ার রড" নামে হস্ত চালিত একটি গণনাকারী যন্ত্র আবিষ্কার করেন। 

প্যাসকেলাইন ঃ 

"অ্যাবাকাস". ও " নেপিয়ার রড" এর পর মে যন্ত্রটি কম্পিউটার তৈরির সফলতাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় তার নাম  ”প্যাসকেলাইন” ।  ব্লেইজ প্যাসক্যাল নামে একজন ফরাসি দার্শনিক ও গণিতবিদ ১৬৪২ সালে "প্যাসকেলাইন" নামে একটি ডিজিটাল ক্যালকুলেটিং মেশিন আবিষ্কার করেন। যন্ত্রটিতে তিনি দাঁতযুক্ত চাকার সাহায্যে যোগ ও বিয়োগ করার ব্যবস্থা করেন। 

 ডিফারেন্স ও অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন ঃ 

বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কারের পেছনে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তার নাম " চার্লস ব্যাবেজ" । কম্পিউটার আবিষ্কারের পেছনে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তাঁকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ গণিতবিদ। তিনি ইংল্যান্ডের ক্যামিব্রজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। গণিতের টেবিলে গণনা কাজে সহায়তার জন্য ১৮২২ সালে তিনি ডিফারেন্স ইন্জিন এবং ১৮৩০-১৮৩৪ সালে "অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন" নামে আরও এক উন্নত যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন। তার অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনে আধুনিক যুগের কম্পিউটারের সাথে অনেক মিল ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি দুটি যন্ত্রের একটির কাজও শেষ করে মেতে পারেননি।

প্রথম কম্পিউটার ঃ

চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যুর পর তাঁর পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে মার্কিন গণিতবিদ জন হ্যারমান হলিরিথ ১৮৯০ সালে আদমশুমারির দ্রুত গণনার কাজ করার জন্য। টেবুলেটিং মেশিন নামে একটি গণনার যন্ত্র আবিষ্কার করেন। ১৯৩০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওয়ার্ড আইকেন এবং আইবিএম এর প্রকৌশলীগণ যুক্তভাবে মিলিত হয়ে ১৯৪৩ সালে মার্ক-1 (Mark-1) নামে একটি বৃহৎ কম্পিউটার তৈরি করেন। এরপর থেকে কম্পিউটারের দ্রুত ক্রমোন্নতি হতে থাকে। অবশেষে ১৯৭১ সালে প্রথম মাইক্রো প্রসেসর ব্যবহার করা হয় কম্পিউটারে । এতে অনেক গুলো আইসি মিলে কম্পিউটারের সবচেয়ে জটিল কেন্দ্র বস্তু সিপিইউ (Central Processing Unit) তৈরি হয়। এভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হতে হতে আধুনিক যুগের কম্পিউটারের উতপত্তি হয়। 

পুর্নাঙ্গ কম্পিউটার আবিষ্কারের পর শুরু হয় কম্পিউটারকে কিভাবে ছোট ও উন্নত করা যায় সেই ব্যাপারে গবেষণা । এই গবেষণার ফলশ্রুতিতে ১৯৫৫ সালে ট্রানজিষ্টার নামের একটি ডিভাইস তৈরি করা হলো। এটি ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হলো । এর ফলে কম্পিউটার আকারে যেমন অনেক ছোট হয়ে গেল তেমনি গণনা করার দ্রুততাও বৃদ্ধি পেল।

শেষ কথাঃ

আমরা আশা করছি  আজকের এই আর্টিকেলটি যারা সম্পুর্ন পড়েছেন তারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন কম্পিউটার আবিষ্কারের পূর্ণ ইতিহাস। তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন ।

ভিজিট করুন www.baneswarit.com

Post a Comment

0 Comments