ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায়ঃ

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায়।

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে আরও জানতে পারবেন ফেসবুক এ্যাড, এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ইত্যাদি সম্পর্কে।

সূচীপত্রঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায়।

ভূমিকাঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায়।

ফেসবুককে আপনি চাইলে বিনোদনের মাধ্যমের পাশাপাশি একটি আর্থিক মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বাড়তি খুব বেশি একটা কাজ করার প্রয়োজন পড়বে না।এর মধ্যে ফেসবুক রিলস  একটি আদর্শ উপায় হিসেবে আপনি বিবেচনায় আনতে পারেন। ফেসবুক রিলস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন তাদের অফিসিয়াল সাইটে।

ফেসবুক এ্যাড দ্বারাঃ 

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য যেভাবে ইউটিউব ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় ঠিক সেভাবেই ফেসবুক রিলস থেকে সহজে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও আপনি নিজের রিলস ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন ডিসপ্লে করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে হাই কোয়ালিটির অরিজিনাল রিল ভিডিওগুলো তৈরি করে পাবলিশ করতে হবে। তবে এড এর মাধ্যমে ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন করার ক্ষেত্রে কেবল নির্দিষ্ট কিছু দেশের ক্রিয়েটরদেরই এই ইনকাম এর উপায় ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং ঃ

যদি আপনার ফেসবুক রিলস গুলিতে ভালো পরিমাণ ভিউজ আসে এক্ষেত্রে আপনি রিলস বানিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি একটি ভাল অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হয়ে নানান প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস গুলিকে নিজের তৈরি করা রিলস ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইনে প্রচার করতে পারেন। আপনি অনেক সহজেই প্রচার করা পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এ যুক্ত করতে পারবেন। এভাবে আপনার ভিডিও ধরন এবং বিষয়ের সাথে জড়িত নানা পণ্য গুলিকে ভিডিওতে প্রচার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক রিলস থেকে টাকা আয় করতে পারেন। 

রেফার করে ইনকাম করুনঃ

রেফার করে টাকা ইনকাম করার প্রচুর অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট গুলো আপনারা অনলাইনে পেয়ে যাবেন। এখন ফেসবুক রিলস বানিয়ে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনারা এই রেফার এন্ড ইনকাম অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইট গুলিকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনাকে একটি ভালো এবং সত্যি টাকা দেয় এমন একটি রেফার এন্ড আর্ন অ্যাপ সিলেক্ট করতে হবে। এবার নিজের ফেসবুক রিলস এর মধ্যে সেই অ্যাপটির বিষয়ে আপনাকে বলতে হবে। যদি আপনার দেওয়া রেফারেল লিংক অথবা কোড ব্যবহার করে আপনার ফলোয়ার্স বা ভিডিও ভিউয়ার্সরা সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে ইন্সটল করে থাকে তাহলে আপনি রেফারেল মানি আয় করতে পারবেন। মাসে লাখ টাকা আয় করতে চাইলে আপনার যা জানা দরকার।

প্রোডাক্ট বিক্রি করুনঃ

যদি আপনার নিজের কোন পণ্য বা পরিষেবা থাকে সেটিকে অনলাইনে কার্যকরভাবে প্রচার করার মাধ্যমে প্রচুর গ্রাহকদের আকর্ষণ লাভ করতে চাইলে ফেসবুক রিলস কাজে লাগাতে পারেন। আপনাকে নিজের পণ্য বা পরিষেবার সাথে জড়িত নানান শর্ট রিলস ভিডিওগুলো বানিয়ে ফেসবুকে নিয়মিত আপলোড দিতে হবে। এতে করে প্রচুর লোকেরা আপনার পণ্য বা পরিষেবার বিষয়ে জানতে পারবেন এবং প্রয়োজন মনে হলে সরাসরি সেগুলো আপনার থেকে কিনেও নিতে পারবেন। 

ব্রান্ডের সাথে সহযোগিতা ঃ

ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য নানান ব্র‍্যান্ড বা কোম্পানি গুলোর সাথে সহযোগিতা করাটাও অনেক কার্যকর ও লাভজনক উপায়। একবার যখন আপনার কাছে যথেষ্ট ফলোয়ার্স হয়ে যায় তখন নানান ব্রাঞ্চ এবং কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য এবং পরিষেবা গুলো প্রচার করার উদ্দেশ্যে নিজে নিজেই আপনাকে কন্টাক্ট করে থাকে। তবে আপনি চাইলে নিজে থেকেও নানান কোম্পানি বা ব্র্যান্ডগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এভাবে নানান ব্রান্ড এর সাথে সহযোগিতা করার মাধ্যমে আপনি তাদের পণ্য বা পরিষেবাকে নিজের ভিডিওর দ্বারা প্রচার করতে পারবেন। এর বদলে আপনি কোম্পানির থেকে টাকা পেতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করার উপায়।

স্টার দ্বারা ইনকামঃ

মেটা ঘোষনা করেছে যে ভিউয়ার্সরা এখন ভিডিও দেখার সময় তাদের পছন্দের কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে স্টার পাঠাতে পারবেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের গ্রহণ করা প্রতিটি স্টার এর বিপরীতে মেটার তরফ থেকে তাদেরকে এক সেন্ট করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর যত অধিক রিলস তৈরি করবেন এবং তাদের রিলস শর্ট ভিডিওগুলো যত অধিক লোকেরা দেখতে পারবেন ততই অধিক স্টার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।  ইউটিউব শর্টস কি? কিভাবে এর থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?

ক্রিয়েটর ফান্ড প্রোগ্রাম ঃ

ফেসবুক এর ক্রিয়েটরদের সাপোর্ট করার উদ্দেশ্যে ক্রিয়েটর ফান্ড নামের একটি প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছে। এই প্রোগ্রাম দ্বারা সেই সকল ক্রিয়েটরদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় যারা বিশেষ কিছু মাইলস্টোন সম্পন্ন করে থাকেন। যেমন ধরুন উচ্চ মানসম্মত ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা বা প্রচুর সংখ্যায় ফলোয়ার প্রাপ্তি ইত্যাদি। ক্রিয়েটর ফান্ড প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে নিজের থেকে আবেদন করতে হবে এবং কিছু নির্ধারিত মানদন্ড গুলো অনুসরণ করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ হাজার হাজার টাকা উপার্জনের সহজ উপায় সমূহ।

সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমেঃ 

ফেসবুক দ্বারা ফ্যান সাবস্ক্রিপশন নামের একটি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে যেখানে ভিউয়াররা তাদের পছন্দের ক্রিয়েটরদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট এর জন্য মাসিক অর্থ পেমেন্ট করে থাকেন। তবে ফেসবুক ফ্যান সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম বা যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন আছে। 

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক গণ, আপনারা নিশ্চয় আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্য ন্ত পড়েছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান। নিত্য নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক নানা ধরনের আর্টিকেল এবং টিপস এন্ড ট্রিকস পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে।

প্রযুক্তিগত সব তথ্য জানতে ভিজিট করুনঃ www.baneswarit.com

Post a Comment

0 Comments